পাকিস্তানে হিন্দু এক শিক্ষিকাকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দেশটির সিন্ধ প্রদেশের খাইরপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নাম আরতি কুমারী। তিনি খাইরপুর জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন।
ওই হিন্দু শিক্ষিকাকে অপহরণের পর সিন্ধু প্রদেশে কর্মরত বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সাংবাদিক নায়লা ইনায়েত বিষয়টি নিয়ে একটি টুইট করেন। সেই টুইটেই গোটা ঘটনাটির উল্লেখ করে নাইলা। টুইটে তিনি জানান, ১৯ বছরের আরতিকে অপহরণ কর হয়। এর পর, মাথায় বন্দুক ধরে স্থানীয় এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়েও দেওয়া হয়। জোর করে ধর্মান্তরিত করে আরতির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে মাহইউশ।
নাইলা অভিযোগ করেন, সিন্ধুর প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা আমির ওয়াহসান পুরো ঘটনাটির সময় উপস্থিত থেকে বিষয়টি তদারকি করেছেন। এপিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নায়লা আরো জানান, শুধুমাত্র জোর করে বিয়ে দেওয়াই নয়, আরতিকে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতেও বাধ্য করেছেন ওই ধর্মীয় নেতা আমির ওয়াহসান। যাতে লেখা আছে আরতি স্বেচ্ছায় ওই মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছেন।
আরতির বাবা ধামেশ শেঠ জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আরতির। এর আগেও তাদের পরিবারের আরও এক তরুণীকে অপহরণ করা হয়েছিল।
পাকিস্তানে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের ঘটনা নতুন নয়। এটি আটকাতে সিন্ধ অ্যাসেম্বলিতে আইনও আনা হয়েছিল। তবে, কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠনগুলির চাপে সেই পদক্ষেপ প্রশ্নের মুখে পড়ে।
আরতির ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েদের জোর পূর্বক ধর্মান্তরিত করে বিয়ে আটকাতে ব্যর্থ দেশটির সরকার।