সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বাঘায় নবাগত ইউএনও’র সাথে প্রধান শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শিমুলতলা জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ বাঘায় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা,থানায় মামলা ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী কাউন্সিলর সাহেব আলীর শাস্তি চায় এলাকাবাসি মানবিক বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান সাভারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

পাইকগাছায় ধান কাটা শ্রমিকসংকটে বিপাকে কৃষক

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি / ১২১
নিউজ আপঃ রবিবার, ১ মে, ২০২২, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় শ্রমিকসংকটে মাঠে নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান। বোরো বাম্পার ফলন হলেও স্বস্তিতে নেই কৃষক। অতিরিক্ত দামেও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে, টলতি মৌসুমে পাইকগাছায় বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৫ হাজার ৬২২ হেক্টরে চাষ হয়েছে। অতিরিক্ত ১ হাজার ৬২২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।

এর মধ্য উফশী ধান চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। আর ১ হাজার ৫৭২ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ হয়েছে। উপজেলার হরিঢালী ৯৪৫ হেক্টর, কপিলমুনি ১ হাজার ৩০, লতা ১, সোলাদানা ১, গদাইপুর ১ হাজার ২৪০ হেক্টর, রাড়ুলী ১ হাজার ৪৫, চাঁদখালী ১ হাজার ৯০, দেলুটি ৭০, গড়ইখালী ইউনিয়নে ২০ ও পৌরসভায় ১৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।

র‌্যালী ইউনিয়নের কৃষক আবদুল হান্নান শেখ বলেন, আমি এ বছর ২ একর জমিতে বোরো ধান করেছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর ভালো ধান হয়েছে। পোকার আক্রমণ একটু বেশি থাকলেও অতিরিক্ত বিষ ছিটাতে খরচ বেশি হয়েছে। তার পরও খুশি ছিলাম। এখন শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারায় ধানের শিষ ভেঙে মাটিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

অধিকাংশ শ্রমিক ইটভাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছে। আমি ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। গদাইপুর ইউনিয়নের কৃষক ইউনুছ আলী বলেন, আমি বছরে দুবার জমিতে ধান লাগাই। এই ধান চাষ করেই ১০ সদস্যর সংসার চালাই।

এবার আমার সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে ভালো ধান হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকসংকটে তা ঘরে তুলতে পারছি না। উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের অবস্থা প্রায় একই। শ্রমিকের অভাবে পাকা ধান খেতে পড়ে রয়েছে। যথাসময়ে কাটতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক।

ধান ঘরে না তোলা পর্যন্ত তাঁদের স্বস্তি নেই। উপজেলার তকিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াব বলেন, এ বছর দেড় একর জমিতে ধান লাগিয়েছি। মাত্র ১ বিঘার ধান কাটতে পেরেছি। ধান পেকে গেলেও শ্রমিক অভাবে কাটতে পারছি না।

চাঁদখালী ইউনিয়নের কাঁটাবুনিয়ার বিধান চন্দ্র রায় বলেন, ৫ একর জমিতে ধান লাগাইছি। ১ একর জমির ধান কাটতে পারলেও শ্রমিকের অভাবে বাকি ধান কাটতে পারছি না। আবার ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছি। এত খরচ করে ধান লাগিয়ে শ্রমিক অভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে ধান পেকে গেছে। সে কারনে সব কৃষক একবারে ধান কাটা শ্রমিক নেওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ শ্রমিক এলাকার বাইরে কাজ করতে গেছে, তাই এ সংকট। তবে ঈদের পরে শ্রমিক পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।

তিনি আরও বলেন, এমন ঘটনা প্রতিবছর হয়। আর ঈদের পর শ্রমিকের মজুরিও কমে আসবে। তবে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, তাহলে উপজেলার ৯০ শতাংশ ধান কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছি।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share