রাজবাড়ীর পাংশায় সড়ক নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। ভালো নির্মাণ সামগ্রীর পাশা-পাশি নিম্নমানের সামগ্রী রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমাণের না বলে দাবি করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, পাংশা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্ত (এলজিইডি) অধিনে উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের দুরশুনদিয়া গ্রমের তোতার মোড় থেকে এতেম মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ১১০০ মিটার কাচা সড়ক, পাকা করণের কাজ চলমান রয়েছে। কয়েক দিন আগে কাজটি শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সড়কটি নির্মাণের জন্য ১১০০ মিটার সড়কে পাশ দিয়ে নির্মাণ সামগ্রী ইটের খোয়া ফেলেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উক্ত নির্মাণ সামগ্রী অতি নিম্ন মানের সামগ্রী দাবী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, সড়কটি নির্মাণের জন্য কয় দিন ধরে ইট ভাঙা হচ্ছে। ১১০০ মিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গাতে ইট ভেঙে খোয়া বানানো হচ্ছে। সেই সকল খোয়ার পাশে গতকাল পুরাতন খোয়া এনে রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পুরাতন সেই খোয়াগুলো সম্পুর্ণ মাটির দলা। হাত দিয়ে ডলা দিলেই ভেঙে গুড়ো হয়ে যাচ্ছে। এই নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হলে অল্প দিনের মধ্যে সড়কটি ভেঙ্গে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. জাকির হাসান বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। আজ সকালে আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। নতুন খোয়ার পাশাপাশি কিছু পুরাতন বালু মিশ্রীত খোয়া দেখেছি। বালু মিশ্রীত খোয়াগুলো নিম্নমানে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ইতি মধ্যে খোয়াগুলো দ্রুত অপসারণ করতে বলা হয়েছে। সংস্কার কাজের নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে নাম, কত টাকা বরাদ্দ সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে উক্ত কাজের ফাইল নেই। এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারছি না। তবে কাজটি করছে ইদ্রীস মন্ডল। ইদ্রীস মন্ডল বলেন, কাজটি করার রাজবাড়ীর রাজা এন্ড কং নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। কাজটি আমি করছি। নিম্ন মানের সামগ্রী বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মৃগী সড়কে এলজিইডির একটি প্রজেক্টের কাজ করেছি। সেখানকার কিছু মাল এই সড়কে এনে রেখেছি। মালগুলো নিম্ন মানের না। থানা ইঞ্জিনিয়ার আমাকে বলেছে, এই মাল নিয়ে সবাই কমপ্লেন জানাচ্ছে এই মাল ব্যবহার করার দরকার নেই। আমিও তাকে কথা দিয়েছি ওই মাল আমি ব্যবহার করব না।
এই বিভাগের আরও খবর....