রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের হরিনাডাঙ্গা গ্রামে হোসেন মন্ডলের ছেলে শহিদুল মন্ডল, বাবু মন্ডল, শরীফ মন্ডল ও সদর মন্ডলের বাড়ীতে বোমা হামলা ও বাড়ীর বিভিন্ন স্থানে টিনের ঘরে কুপিয়েছেন প্রতিপক্ষ বলে অভিযোগ করেছেন সোহেল মন্ডলের স্ত্রী আমেনা খাতুন।
এ ঘটনায় রাতেই পাংশা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীর লোকজন। জানাগেছে তুুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামান্য মারামারির ঘটনা ঘটে এ ঘটনায় লোকমান হোসেন বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এর প্রেক্ষিতে পাংশা থানা পুলিশ মামলার আসামী সদর মন্ডলকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠিয়েছেন থানা পুলিশ।
এ দিকে শুক্রবার রাতেই হরিনাডাঙ্গা গ্রামে হোসেন মন্ডলের ছেলে শহিদুল মন্ডল,বাবু মন্ডল,শরীফ মন্ডল ও সদর মন্ডলের বাড়ীতে বোমা হামলা ও বাড়ীর বিভিন্ন স্থানে টিনের ঘরে কুপিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সমূহ। তাদের দাবী মামলা হওয়ায় আমাদের বাড়ীতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে আমাদের বাড়ীতে হামলা চালানো হয়েছে।
এ হামলায় রিফাতের নাম শোনা যাচ্ছে। শহিদ মন্ডলের পরিবার জানান একই এলাকার সাবেক সেনা সদস্য লুৎফর রহমান,আনছার আলী জোয়ার্দ্দার,লোকমান হোসেন, রিফাত জোয়ার্দ্দারসহ আরো অনেকেই এ ঘটনার সাথে জড়িত।
আমরা গরীব মানুষ বলে আমাদের উপর এমন অত্যাচার করা হচ্ছে আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মৌরাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আলম মিয়া বলেন এটা অত্যান্ত দুঃখ জনক ঘটনা রাতের আধারে বোমা হামলা ও কুপিয়ে তাদের বাড়ীতে যারা হামলা করেছে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি প্রকৃত দোষিদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করুন।
স্থানীয়রা জানান আওয়ামীলীগ করার কারনে ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসেম মন্ডলকে ১৯৭১ সালে হত্যা করা হয়েছিল সেই পরিবারের মানুষদের সাথে এরুপ করা হচ্ছে যা সম্পূন্য অন্যায়। অভিযুক্ত পরিবারের একজন চুন্নু জোয়াদ্দার বলেন এটা মিথ্যা মামলা থেকে বাচতে নিজেরাই এ নাটক করেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা বলছেন যে বা যারাই এ কাজ করছে যারা বিস্ফোরক ঘটিয়েছে সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের মাধ্যমে এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান। এ ব্যপারে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান বলেন ঘটনা শুনার সাথে সাথে থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।