কলাপাড়ায় একটি বিদ্যালয়ের কক্ষে চাষ করা হচ্ছে ব্ল্যাক ফ্লাই সোলজার (উরন্ত কালো সৈনিক) নামের এক ধরনের পোকা। আর এ পোকা দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে মাছের খাবার। পোকা থেকে নির্গত দুর্গন্ধ এবং ভয়ে বিদ্যালয়ে আসছে না শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এমনকি অনেক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ও পরিবর্তন করেছে। ফলে এখন শুধু নামেই চলছে এ বিদ্যালয়টি।
উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় কুমরাখালী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি স্কুল। উদ্বোধনের পর থেকে বেশ ভালোই চলছিলো বিদ্যালয়টি। তবে করোনার সময়ে এ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কমে যায়। এরপর গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে পোকা চাষ শুরু করেন বিদ্যালয়ের জমিদাতা হারুন পাহলানের শ্যালক হুমায়ুন। গামুরবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী আল-হাসিব জানান, আগে আমি কুমরাখালি স্কুলে পড়তাম। এই বিদ্যালয়টি আমার বাড়ি থেকে খুবই কাছে ছিলো। কিন্তু বিদ্যালয়ে পোকা চাষ শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক গন্ধ আসে।
এছাড়া ওই বিদ্যালয়ে পানি পানের একটা টিউবওয়েলও নেই। তাই গামুরবুনিয়ায় ভর্তি হয়েছি। প্রায় ৩ কিলোমিটার হেটে প্রতিদিন বিদ্যালয় যাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং বিদ্যালয়ের জমিদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা বক্তব্য দিতে রাজি হননি। পোকা চাষি হুমায়ুন মিয়া বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এসব পোকা সরিয়ে ফেলবো। আমাদের নিজেদের ঘেরের জন্য এসব পোকা পালন করছি। কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার অচ্যুতানন্দ দাস বলেন, ওই বিদ্যালয়ে এ বছরও শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু বই দেওয়া হয়েছে। তবে বেসরকারী বিদ্যালয়গুলো তেমন তদারকি না থাকলেও ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।