ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে আতিকুর রহমান সুমন (২৮) নামের এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় বুধবার (৬ এপ্রিল) রাতে পৌর এলাকা থেকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের মারফত আলীর ছেলে শরিফ মিয়া (২৫) কে গ্রেপ্তার করেন নবীনগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নিহত আতিকুর রহমান সুমন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলিপুর গ্রামের বাসিন্দা ।
সে দীর্ঘদিন যাবত নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের বাজারে ফার্নিচারের ব্যবসা করতেন।
সেই সূত্রে স্থানীয় শরিফ মিয়ার স্ত্রী সাথী আক্তারের সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি শরিফ জেনে গেলে এ নিয়ে শরিফ ও সাথীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সাথী আক্তার তার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাবার বাড়িতে চলে যায়।
ঘটনার দিন নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের কারণ হিসেবে সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে শরিফ। ভোর রাতে সে আতিকুর রহমান সুমনের উপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় নিহত সুমনের বড় ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকেই শরিফকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে নবীনগর থানা পুলিশ। বুধবার রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর থেকে তাকে আটক করেন নবীনগর থানা পুলিশ।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, আতিকুর রহমান সুমনের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলিপুর গ্রামে হলেও সে দীর্ঘদিন ধরে বাঘাউরা গ্রামে বসবাস করে আসছেন। এরই সুবাদে স্থানীয় শরিফ মিয়ার স্ত্রী সাথির সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি হয়। তারই সূত্র ধরে শরিফ ঘটনার দিন ছুরি দিয়ে আঘাত করে সুমনকে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন শরিফ।