ডিভোর্সী মেয়ের জামাতার হামলায় শ্বশুর হারুন মৃধা (৬০) নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতর বাড়ি পার্শ্ববর্তী মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামে।
স্থানীয়,হাসপাতাল ও থানা সূত্রে জানা গেছে,দুইবছর পূর্বে সাহেবেরচর গ্রামের সিকিম আলী বয়াতীর ছেলে মাসুম বয়াতীর সাথে হারুন মৃধার মেয়ে শান্তনার বিয়ে হয়। কয়েকদিন পর দাম্পত্য কলহের কারণে মাসুমকে ডিভোর্স দেয় হারুন মৃধার মেয়ে শান্তনা।
এই নিয়ে সোমবার বিকেল সারে চারটার সময় শান্তনা গৌরনদীর হোসনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট পড়ে লঞ্চঘাট এলাকা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ডিভোর্সী স্বামী মাসুম বয়াতী তার পথরোধ করে তার সাথে যেতে বলে। শান্তনা ডিভোর্সী স্বামীর সাথে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এই নিয়ে কথাকাটাকাটির মধ্যে হারুন মৃধা (শান্তনার বাবা) এগিয়ে এসে মেয়েকে নিয়ে খেঁয়া নৌকায় তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। মেয়ে চলে যাওয়ার কিছু সময় পরে মাসুম তার লোকজন নিয়ে হারুন মৃধাকে এলোপাতালী পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরতর জখম করে।
স্থানীয়রা হারুন মৃধাকে উদ্ধার করে প্রথমে হোসনাবাদ বাজারের নিউ জনপ্রিয় হাসপাতালে নিয়ে আসে, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সাথে সাথে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে তিনি মারা যান।
হারুন মৃধার মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঔ এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়,পরবর্তীতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনে।
গতকাল রাত সারে আটটায় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আফজাল হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িতকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।