ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বিপিএম বলেছেন, সালথাকে সংঘর্ষ মুক্ত করতে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। কোন ভাবেই আমরা সালথায় আর কোন সংঘর্ষ ভাংচুর লুটপাট দেখতে চাই না।
সালথাকে সংঘর্ষ মুক্ত করতে যা যা করা দরকার পুলিশ সব ব্যাবস্থাই গ্রহন করবে। কোন সংঘর্ষকারীকে পুলিশ ছাড় দিবে না। আমর চাই সালথায় শিক্ষিত মানুষ তৈরি হোক। প্রতি বছর সালথা থেকে বড় বড় অফিসার তৈরি হোক, বিসিএস ক্যাডার তৈরি হোক।
সালথার মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। সকলে মিলে সংঘর্ষ পরিহার করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এগুলো চলতে পারে না। চলমান সংঘর্ষ নিরসনে পুলিশ কঠোর ভুমিকা পালন করবে।
এসময় উপস্থিত সকলের উদ্যশে আরো বলেন প্রতিটি পরিবারের অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। কারো সন্তান যেন সংঘর্ষে লিপ্ত না হয়। একটি সুন্দর সমাজ গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষত মানুষই পারবে সুন্দর একটি সমাজ উপহার দিতে। সংঘর্ষ কখনো শান্তি এনে দিতে পারে না।
আজ আপনি যার ক্ষতি করছেন তিনি আপনার ভাই অথবা প্রতিবেশি। আপনি মারা গেলে তারাই আপনার জানাযা পড়াবে। অতএব খারাপ কাজ বর্জন করুন, ভালো কাজ করুন যাতে সমাজের উন্নয়ন হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা মাল্টিপারপাস হল রুমে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা সংঘর্ষ নিরসনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব প্রদান করেন।
সভায় সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ সাদীকের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সালথা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল খায়ের, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোস্তফা আহসান কামাল, ইউসুফদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ছায়েম হোসেন, সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিরাজ আলী, সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম মোল্যা প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সালথা থানার এসআই মারুফ হোসেন।