পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতের বালিয়ারিতে নির্মিত বৃহত্তম বালু ভাষ্কর্যটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। বুধবার শেষ বিকালে বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম এ ভাস্কর্যটিকে উদ্বোধন করেন। পরে ভাস্কর্য লাগোয়া সৈকতের অস্থায়ী মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতির পিতা ববঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ সৈকতের বিভিন্ন স্থান আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ শহীদুল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সাধরন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড গোলাম সরোয়ার, কলাপাড়া উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদারসহ আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে কুয়াকাটায় হাজার হাজার পর্যটকের ভীড় দেখা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে জেলা পুলিশ কুয়াকাটা সৈকতে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০ ফুট প্রস্থের এ ভাস্কর্যটি নির্মানের উদ্যোগ নেয়। গত ৯ মার্চ খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ৬ শিক্ষার্থী বালু ভাস্কর্যের নির্মান কাজ শুরু করেন। জিরো পয়েন্টের ১০০ গজ পূর্বদিকে অবস্থিত এ বালু ভাস্কর্যের প্রধান ফটকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তুলে ধরা হয়েছে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপট। ভাস্কর্যটি এক নজর দেখতে ভীড় জমিয়েছেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী অনুপম ধর বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্রে রেখে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস। রয়েছে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতার নানা চিত্র।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ শহীদুল্লাহ (পিপিএম) বলেন, ২৬ মার্চ পর্যন্ত ভাস্কর্য পর্যটকসহ স্থানীয়দের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।