ভাষা নেই আজ তাদের কথা বলার,
ব্যথা তাদের মিশে গেছে রক্তের সাগরে হয়ে একাকার।
অশ্রু শুকিয়ে গেছে ঘাতকের বুলেটের বজ্রাঘাতে,
সব কিছু হারিয়ে পথ চলা শুরু তাদের অজানা গন্তব্যে।
বিলিন হয়ে গেছে মরুর বুকে বেঁচে থাকার আনন্দ উল্লাস।
মুক্তির পথ খুঁজে চারিদিকে শুধু বেঁচে থাকার আর্তচিৎকার।
ধ্বংস স্তুুপে পড়ে থাকা লাশের দুর্গন্ধে ভারি আকাশ বাতাস,
দিগ্বিদিক খুঁজে ফিরে শবদেহ স্বজনেরা হয়ে নির্বাক।
হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গনে অনড় অবিরত,
তবুও মসজিদুল আকসা এক ইঞ্চিও ভূমি দেব না হতে ইসরাইলী শকুনদের অনুগত।
জান্নাতের সুগন্ধে হয়ে উন্মাদ উদ্বেলিত,,
বাড়িঘর বিরাণভূমিতে তবুও নেই এতোটুকুন হতাশা অবসাদ দুঃখ কষ্ট।
ধন্য জীবন তাদের গর্ভের জন্মভূমি ফিলিস্তিনি,
মসজিদুল আকসা হারামাইন শরীফেের উত্তরসূরী।
জীবনের মানে বুঝে তারা গাজওয়া যুদ্ধ জিহাদ,
তেজারত নাওয়া খাওয়া দাওয়া নেই প্রস্তুত সর্বদাই দিনক্ষণ রাত।
কামানের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে ফিলিস্তিনি আকাশ,
মুহূর্তে ঝরছে কতশত নিষ্পাপ শিশু বৃদ্ধ নারী পুরুষ অবলার লাশ।
হানাদার ইসরাইলি হায়েনা বর্বর জল্লাদ ঘাতকের নির্মম গ্রেনেডের আঘাত,
সাগরের ঢেউয়ে ইথারে মিশে গেছে ফিলিস্তিনিদের বুকফাটা আর্তনাদ।
এতোটুকু ঠাঁই নেই গোরস্থানে শহীদদের কফিনে মোড়ানো রাখতে লাশ,
ইজরাইলি ঘাতকের যুদ্ধবিমান তাড়া করে ফিরছে সার্বক্ষণিক ফিলিস্তিনিদের কেড়ে নিতে নিঃশ্বাস।
মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই বিনিদ্র রজনী খোলা আকাশ,
খাদ্য পানীয় চিকিৎসা নেই মানবিক বিপর্যয়ে শুধু হাহাকার।
আকাশের বুক চিরে আঘাত হানে ঘাতকের যুদ্ধবিমান নীরবে এসে,
দালানকোঠা প্রতিষ্ঠান বাড়িঘর নিমিষে পরিণত মরুভূমিতে।
অদম্য সাহস উৎসাহ-উদ্দীপনা শাহাদাতের পেশ করতে নাজরানা,
বীর ফিলিস্তিনি মোকাবেলায় অনড় এতটুকুও পিছুটান নয়।
আরশের মালিক তুমি দিয়েছো অনুমতি মোদের পরীক্ষার লাগি ব্যবহার করতে আকাশ ভূমি,
দ্বিধা নেই শক্তি সাহস হিম্মত দাও রক্ষা করতে পারি যেন তোমার ঘর প্রিয় পুণ্যভূমি।।