ভিরু কাপুরুষ পিড়িত হয় ভাগ্যের দোহায়ে ,
সিংহ পুরুষ গর্জে উঠে ঈমানের দাবিতে দ্বীন কায়েমের সংগ্রামে।
জালিমের জুলুম রক্ত চক্ষু ভয় ডর উপেক্ষা করে,
সত্যে নির্ভীক অবিচল চিত্তে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুদৃড় পিলারে।
বিক্রি হয় না দুনিয়ার কাছে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে,
দুনিয়া ভাবে মৃত বস্তু ছিঁড়ে খায় শিয়াল কুকুরে।
কখনো রুখতে পারেনি আগুনের কুন্ডলী ঈমানের শাণিত শক্তি,
রক্তের ফিনকি বাড়িয়ে দিয়েছে ঈমানের তীব্র গতি।
ঈমানের ঘোষণায় যুগে যুগে দ্বিখন্ডিত মস্তক জালিমের খড়গে,
স্বদেশ ঘর বাড়ি স্বজন-পরিজন ছেড়ে নির্বাসিত জালিমের কারাগারে।
কুরআনের শাণিত রশ্মি বিকিরণে ঝলকিয়ে দিয়েছে পৃথিবীকে,
সকল কুফরী শক্তি গ্লানি নিয়ে নিক্ষিপ্ত পরাজয়ের আস্তাকুঁড়ে।
আজও সেই কুরআনের দীপ্ত-আলোক বর্তিকা চিরভাস্বর,
অথচ মুসলিমরা লাঞ্চিত পদদলিত নিগৃহীত এ ধরণী পর।
জীবন্ত ছিঁড়ে খাচ্ছে মুসলমানদের রক্ত মাংস মা বোনদের ইজ্জত মুশরেক কাফেরে,
লাখো ওয়ারিশাতুল আম্বিয়া ঘুমাচ্ছে কুরআনকে জেহেলে নিয়ে।
ঈমানের মাপকাঠি দাড়ি টুপি লেবাস মেসওয়াকে,
বিভেদে লিপ্ত মতপার্থক্য তরিকা ফেরকাতে।
ছিল না কখনো ফুলশয্যা মুসলমানদের জীবন, ঈমানের মাপকাঠি অগ্নি পরীক্ষায় একমাত্র ভূষণ।
মোশরেক কাফেরদের সঙ্গে করেনি কখনো আপস,
খোদার উলুহিয়াত প্রতিষ্ঠার সংঘাতে লিপ্ত সর্বক্ষণ। ফতুয়ার বেড়াজালে জর্জরিত আত্মঘাতী অনৈক্য বিভেদের অনলে দগ্ধ ,
কুফরের স্টিম রোলারে পিষ্ট সর্বস্বহারা মুসলিম ভাতৃ বৃন্দ।।।
এই বিভাগের আরও খবর....