রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জংগল ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্কের এক নাম মৃত- সুবাস বসুর ছেলে হিল্লোল বসু (২৫)। যার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক চাঁদা, ভূমি দখল, কিডনাপিং এর মতো অভিযোগ।
অনুসন্ধান সুত্রে জানা যায়, তার বাবা ছিলেন একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও সর্বহারা পার্টির নেতা , তবে গত ১২ বছর যাবত নিখোঁজের পরেও তার কোনো প্রকার খোঁজ মেলেনি। যার ফলে তার পরিবার তাকে মৃত ভেবে নেয়।
এই হিল্লোল বসুর বাবা না থাকলেও তার চাচতো ভাই কল্লোল বসুর ছত্রছায়াই সে এখন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলছে।
জানা যায়, এলাকায় কোন সরকারি কাজ আসলে তাকে চাঁদা না দিলে কোন ঠিকাদার কাজ করতে পারে না ঠিক মত। ঠিকাদারদের খেতে হয় হিমশিম।
এলাকার কিছু সাধারণ মানুষ আমাদের জানান, এর আগে হিল্লোল বসু চাপড়া (সুইসগেট) ঠিকা দারের কাছে চাঁদা দাবী করলে তখন ঠিকাদার তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলে জংগল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিল্লোল বসুর ভাই কল্লোল বসু বিষয় টা ধামাচাপা দেয়।
তারা আরও জানান, অলংকাপুর স্কুলের ভবন নির্মাণ কাজে এই হিল্লোল বসু বাধা দান করে চাঁদা টাকার জন্য। আর চাঁদা না দেওয়ায়, এ নিয়ে মামলা হলে এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মামুন কে তখন বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ আটক করে অস্ত্র সহ কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান ক্ষিরোদ বসুর ভাস্তে ও ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতির ভাই হওয়ায় ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায় হিল্লোল বসু।
অনুসন্ধান সুত্রে আরও জানা যায়, এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিল্লোল বসুর বিরুদ্ধে রয়েছে মাগুরার শ্রীপুর থানায় অপহরণ ও মোটরসাইকেল ছিনতাই মামলা, ফরিদপুরের মধুখালি থানায় রয়েছে অস্ত্র মামলা, বালিয়াকান্দি থানায়ও রয়েছে অপহরণ মামলা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আমাদেরকে জানান, ঢাকা থেকে একজন ব্যক্তিকে এই হিল্লোল বসু ও তার সহোযোগিরা অপহরণ করে নিয়ে আসে। পরে মুক্তি পনের টাকা আনতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে আটক হয় এবং পুলিশের সহযোগিতায় হিল্লোল বসুর বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়, উদ্ধার কালে একটা ছিনতাই করা মোটরসাইকেল তার বাড়ি পাওয়া যায়।
সম্পতি কালে হিল্লোল বসু অস্ত্র ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জংগল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের মালিকানা সম্পত্তি জোর দখল করে নিয়েছে।
জংগল বাজারের ৫-৬ টি দোকান প্রায় একবছর পূর্বে সট সারকিট অর্থাৎ বৈদ্যুতিক গোলোজগের কারণে অগুন লেগে পুড়ে যায় এটা ধারণা করে তখন ওই সকল দোকানদার, কিন্তু এক বছর পর আবার যখন ওই ব্যক্তিরা দোকান তুলতে গেলে কল্লোল বসু তার সন্ত্রাসী ভাই হিল্লোল বসুকে দিয়ে বাধা প্রদান করে এবং ওই জায়গা দখন করে নেয়।গোপনীয় সুত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দোকান মালিকেরা জানতে পারে ওই অগ্নিসংযোগ ছিলো পরিকল্পিত ।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, হিল্লোল বসু তার এই সকল অপকর্ম করে চলেছে ভাই ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি হওয়ায়।