নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারি মোকাবেলা করে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। যা বিশ্বের বিভিন্ন গভেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। শনিবার বিকালে পায়রা সমুদ্র বন্দরের নির্দিষ্ট চ্যানেলের গভীরতা বাড়াতে ড্রেজিং এর কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বক্ষতা তৈরী হয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে। পদ্মা সেতু আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। এতে আমাদের সাহসী করে দিয়েছে। আর এ সাহসী নেতৃত্বের নাম হচ্ছে দেশ রতœ শেখ হাসিনা। তার স্বপ্নের পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংএর কাজ উদ্বোধন করা হলো। ইতিমধ্যে এই বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এছাড়া বন্দরের সার্ভিস জেটি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সংযোগ সড়ক ও আন্ধারমানিক নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ কাজ অতি শীঘ্রই শুরু হবে।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দরের নির্দিষ্ট চ্যানেলের গভীরতা বাড়াতে ড্রেজিং এর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি পায়রা বন্দর নির্মানে ভ‚মি অধিগ্রহনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ জনগনের পূর্নবাসনের জন্য বাড়িসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মান সংশ্লিষ্ট কাজ পরিদর্শন করেন।
এ উদ্বোধনী কার্যক্রম অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী,পায়রা বন্দন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর হুমায়ুন কল্লোল, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আহমদ আলীসহ বন্দরের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পায়ার বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বেলজিয়ামের ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল এর সাথে ১৮ মাসের জন্য রক্ষনাবেক্ষন ড্রেজিং চুক্তি করে পায়রা বন্দর কতৃপক্ষ। এই ড্রেজিং এর আওতায় রাবনাবাদ ইনার ও আউটার চ্যানেলের প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১০০-১২৫ মিটার প্রস্থরবিশিষ্ট চ্যানেলে আনুমানিক ৯.৭৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পলি অপসারন করে চ্যানেলের ৬.৩ মি. গভীরতা বজায় রাখা হবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩৭.৩০কোটি টাকা। ড্রেজিং কাজে চুক্তি মুল্য ৪০৮.৮৭ কোটি টাকা।