মাধবপুর প্রতিনিধি :হবিগঞ্জের মাধবপুর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে উপর্যপরী ধর্ষণ করার অভিযাগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত উপজলার বাঘাসুরা ইউনিয়নর কালিকাপুর নায়াগাঁও গ্রাম এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ধর্ষক রুবেল মিয়া (২১) কে গ্রেফতার করছে। পুলিশ জানায়, সােমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিকাপুর উচ বিদ্যালয়র ১০ম শ্রেণীর ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হলে পূর্বথেকে উৎপত পেতে থাকা ওই গ্রামের মৃত ছাবু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া তাকে ঝাঁপট ধরে মুখ চাপা দিয়ে জোরপূর্বক ঘরে তুলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে।
ওই ছাত্রীর ঘরে ফিরে আসতে দেরী দেখে তার স্বজনরা তাকে খাঁজাখুজি ও ডাকাডাকি করতে থাকে। শব্দ শুনে ধর্ষক তাকে রাত ১টার দিকে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে ওই ছাত্রী বাড়ীতে এসে বিষয়টি পরিবারকে অবহিত করেন। ধর্ষিতার বাবা একজন প্রতিবন্ধী ও মা লেবানন বসবাস করন। এ ব্যাপার ধর্ষিতার চাচা ফকির আব্দুল আহাদ রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধ মঙ্গলবার সকাল মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক কামরুল ইসলাম কালিকাপুর নায়াগাঁও গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করে। মাধবপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত গালাম দস্তগীর আহমদ এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ ব্যাপার মাধবপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে ও ২২ ধারা জবানবন্দী গ্রহণের জন্য হবিগঞ্জ আদালত প্রেরণ করা হয়ছ। ধর্ষিতার চাচা ফকির আব্দুল আহাদ জানান, ধর্ষিতাকে প্রেম নিবদোন করে প্রায়ই রুবেল উত্যক্ত করত। এদিকে ধর্ষক রুবেল মিয়াকে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।