ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে আসা পানিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন লাখো মানুষ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন।
বন্যার্ত জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ফেনী ও নোয়াখালীর বন্যা। ভারীবর্ষণ এবং পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ধেয়ে আসা পানিতে আকষ্মিক বন্যায় তলিয়ে যায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চল। ডুবে যাওয়া ফেনী ও নোয়াখালীর এসব অঞ্চল পরিদর্শন করতে এসব এলাকায় যান সামাজিক ও আইনি বিষয়ক মানবাধিকার সংস্থার (এসএলএ) চেয়ারম্যান জে এইচ রানা।
তিনি বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে এ পর্যন্ত ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানার রাজাপুর ইউনিয়ন ও নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার শরীফপুর ইউনিয়নে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে মানু্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।
এছাড়া জে এইচ রানা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষ এবং দুর্গম এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেন এবং তাদের মাঝে ফুড প্যাকেট উপহার ও আর্থিক সহযোগিতা দেন।
সামাজিক ও আইনি বিষয়ক মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিঃ অনিকুল ইসলাম, পরিচালক হাজী নুরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান,সদস্য সাইফুল ইসলাম ও সমাজসেবক মেহেদি রানা শহীদ প্রমুখ।
এ সময় জে এইচ রানা সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।