রাজশাহীর বাঘায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশিত ট্রেনিং স্টপ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির প্রোগ্রামে যেতে শিক্ষকদের বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মামুনুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষকরা। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অনেকেই বলেন, আমরা অসহায়, আমাদের কিছু বলার নেই। বুধবার ২০শে সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষকদের ট্রেনিং চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার সকাল ৯ টায় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের হল রুমে ৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ে উচ্চ শিক্ষার মান বিষয়ক প্রশিক্ষণ চলছিল। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ একটানা চলার কথা থাকলেও সকাল দশটার সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মির মামুনুর রহমান প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের বলেন, মন্ত্রীর ( আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম) প্রোগ্রাম আছে। সেখানে যেতে হবে, সবাই চলেন। এ সময় শিক্ষকরা প্রোগ্রামে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি উগ্রভাবে তাদেরকে শাসন গর্জন করেন। পরে বাধ্য হয়েই শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ বাদ দিয়ে মন্ত্রীর প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা রিসোর্চ সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর আনোয়ার হোসেন জানান, এ প্রশিক্ষণ টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বারবার বলার পরেও শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের প্রোগ্রামে নিয়ে গেছেন। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না।
এ ঘটনায় জেলা শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, ‘ বিষয়টি আমি জানি না।
যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগন সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এখন অনুষ্ঠানে তাদের দর্শক বানানো হচ্ছে। এর জন্য অনুষ্ঠান আয়োজক এবং প্রশাসন দায়ী।’ সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে লোকজন বাড়াতে কিছু কিছু স্কুল-কলেজ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ অতি উৎসাহী হয়ে শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষক এবং স্টাফদের ব্যবহার করেন। তা কোনোভাবেই আইনসঙ্গত নয়। এ ব্যাপারে সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ নেয়ার দাবিও করেন তারা।
এই বিভাগের আরও খবর....