সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো এলাকায় পিএমকে হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিষয়ে মৃত নবজাতকের পিতা রুবেল বলেন, আমার স্ত্রী মিসেস চুমকি আক্তার একজন প্রসূতি নারী।গত ১৪ জুলাই প্রচন্ড ব্যাথা প্রসব দেখা দিলে আশুলিয়ার জিরাবোতে পিএমকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। নেওয়ার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রুগীকে ভর্তি করানোর জন্য। তখন আমি জিজ্ঞাসা করি ডাক্তার কে আছে আমাকে বলা হয় ডাক্তার ফেরদৌসী সুলতানা এমবিবিএস (গাইনী বিভাগ)আছেন।তাদের কথা শুনে আমার স্ত্রী কে ভর্তি করি।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন যদি অপারেশন প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা ফেরদৌসী ম্যাডাম কে দিয়ে অপারেশন করাবো। ভর্তির পর দিন ১৫ জুলাই রাত অনুমানিক ২ টার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন রোগীর অবস্থা ভালো না এখনই অপারেশন করাতে হবে না হয় রোগী বাঁচানো যাবেনা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা শুনে আমি অপারেশন করাতে সম্মতি পোষন করলে রাত ২:৩০ মিনিটে অপারেশন শুরু করে প্রায় ৪ ঘন্টা সময় নিয়ে অপারেশন করা হয়। অপারেশন থিয়েটারে আমার স্ত্রীকে ২:৩০ মিনিটে প্রবেশ করালেও কাগজপত্রে অপারেশনের সময় উলেখ্য করেন ১:৩০ মিনিট। এবং অপারেশন করা ডাক্তারের নাম জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান,ডাক্তার রাইসুল ইসলাম আবাসিক সার্জন ও ডাক্তার পুজা এর ধারা অপারেশন হয়েছে।কিন্তু আমার সাথে কথা ছিলো ডাক্তার ফেরদৌসী সুলতানা কে দিয়ে অপারেশন করানো হবে। তাদের ভুল চিকিৎসায় আমার সন্তান প্রসবের পরে অবস্থা ভালো না দেখে তারা আমাদের অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেয়।
ঘটনার ৬ দিন পর আমার নবজাতক শিশু মারা যায়। এবং আমার স্ত্রী চুমকি আক্তারের অবস্থা খুবই আসংখ্যাজনক। এ বিষয়ে রুবেল আরও জানান,ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় আমি আমার নবজাতক সন্তান কে হারিয়েছি।তাই আমি ঘটনার সুস্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ঘটনার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে, কোন ধরনের তথ্য না দিয়ে উল্টো প্রতিবেদকের উপরে চড়াও হয়। এ বিষয়ে আরও জানা যায় ডাক্তার রাইসুল ইসলাম বর্তমানে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ট্রেইনি হিসেবে কাজ করছেন।একজন ট্রেইনি চিকিৎসক কি কোন হাসপাতালে অপারেশন করাতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে।হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে কর্মরত একজন ডাক্তার বলেন,ট্রেনিং প্রাপ্ত ডাক্তাররা কোথায় চাকরী করতে পারবেনা। তাদের চাকরী করার প্রমাণ পাওয়া গেলে লাইন্সেস বাতিল হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় জিরাবো এলাকার একাধিক বাসিন্দারা জানান, ইতিপূর্বে এই হাসপাতালে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে।এই হাসপাতালের অনুমোদন নেই অনুমোদন ছাড়াই তারা দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।এলাকাবাসীর দাবী অবিলম্বে এই হাসপাতার বন্ধ করে দেওয়া হোক। প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে কালে জানা যায়, পিএমকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই ব্যবসার পাশাপাশি চড়াও সুদে সমবায় সমিতির ব্যবসাও রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েম উল হুদা বলেন এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, এক বিষয়ের ডাক্তার অন্য রোগের সিজার করতে পারেনা। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রয়োজননীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।