সাভারে নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধর করে বেঁধে রেখে একটি ব্যাটারী ও টায়ার বিক্রীর শোরুমে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা ওই শোরুমের তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে নদগ টাকাসহ প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সোমবার ভোররাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা এলাকার ওকে প্লাজার নীচ তলায় অবস্থিত ওকে ব্যাটারী ও টায়ারের শোরুমে এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও লুন্ঠিত টাকা কিংবা মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।
মারধরের শিকার দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাত সাড়ে ৩ টার দিকে আমি চা খেয়ে শোরুমের সামনে আসামাত্র ঢাকার দিক থেকে একটি দ্রুত গতির পিকআপ আমার সামনে ব্রেক করে। এসময় পিকআপ থেকে একযোগে ৭-৮ জন মুখোশ পরিহিত লোক নেমে আমাকে বেঁধে ফেলে এবং মারধর করে। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজন শোরুমের কেঁচিগেট ও শার্টারের তালা কাটতে থাকে। একপর্যায়ে আমাকে পিকাপের আড়ালে উপর করে ফেলে রেখে তারা শোরুমে থাকা নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ওকে ব্যাটারী ও টায়ারের শোরুমের টেকনিশিয়ান সুমন বলেন, ভোররাত সাড়ে ৩ টার দিকে মুখে মুখোশ পরিহিত একদল ডাকাত আমাদের নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে বেঁধে রেখে শোরুমের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেন। এসময় তারা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের নতুন ব্যটারী, দেড় লাখ টাকার বিভিন্ন পার্টস এবং পুরাতন ব্যবাটারীসহ কিছু আইপিএস ট্রাকে ভরে লুট করে নিয়ে গেছে। নিরাপত্তা কর্মীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের গার্ড বলেছে মুখোশ পড়া ডাকাত দলের ৮ জন সদস্য তাকে মারধর করে বেঁধে রেখে শোরুমে ডাকাতি করে।
ওকে ব্যাটারী ও টায়ারের শোরুমের সত্বাধিকারী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, রবিবার রাতেই ঢাকা থেকে নতুন আইপিএস ও ব্যাটারী আনা হয়েছে। এছাড়া আগেরও বিক্রীর জন্য রাখা ব্যাটারী, আইপিএস, কাস্টমারের মেরামত করা কিছু আইপিএস এবং নগদ সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা ছিলো। ডাকাতরা আমাদের গার্ডকে মারধর করে বেঁধে রেখে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে ওকে ব্যাটারী ও টায়ারের শোরুম পরিদর্শন করেছি। তাদের নিরাপত্তা প্রহরীকে বেঁধে রেখে নগদ টাকাসহ শোরুমে রাখা ব্যাটারী, আইপিএসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পিকআপে ভরে নিয়ে গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী শোরুমের মালিককে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছ। অভিযোগ পেলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।