রাজবাড়ীর পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান হত্যার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দেশীয় একটি একনলা বন্দুক ও ২ পিস তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল ১০ টায় রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, জেলার পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের হাটবনগ্রাম এলাকার কলম শেখের ছেলে শাকিবুল হাসান (১৮),আনন্দ সরকারের ছেলে আকাশ সরকার (১৯),ইন্দ্রজিত সরকারের ছেলে রামপ্রসাদ সরকার(১৮), মৃত অজিত কুমারের ছেলে বিজয় কুমার সরকার (১৯) ও অরবিন্দু সরকারের ছেলে বাদল সরকার (১৯)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, স্কুল শিক্ষককে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলার পাংশা থানার কলিমোহর ইউনিয়নের হাটবনগ্রাম থেকে ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলাটি তদন্ত সম্পন্ন করে পাংশা পুলিশের উপ পরিদর্শক দিপঙ্কর কুমার কুন্ডু বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) মো. সালাহউদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) মো. রেজাউল করিম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, ডিআইও-১ মো. সাঈদুর রহমান, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাংশা উপজেলার কালিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামের পাকা রাস্তার উপর পাংশা বালিকা বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীয়ান ও পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের বসাকুষ্টিয়া গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান মুকু (৪৭) কে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তিনি হোসেনডাঙ্গা বাজারের সারের দোকানে দিনভর হালখাতার কার্যক্রম শেষ করে রাতে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে আধা কিলো মিটার দুরে পৌছতেই দূর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে এবং কানের পাশে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই মিজানুর রহমান মুকু মারা যান।এঘটনায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী পারুল খাতুন বাদী হয়ে অসিত কুমার প্রামানিককে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামী করে পাংশা থানায় মঙ্গলবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।