রাজশাহীর বাঘায় তরিনা বেগম নামে তিন কন্যা সন্তানের জননী এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৫-মার্চ) সকাল ১০ টায় বাঘা পৌরসভার ২ নং পাকুড়িয়ার নিজ বাড়ি থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গৃহবধুর চাচা আব্দুল মান্নান বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, তরিনা বেগমের স্বামী রাজদুল ইসলাম মাদকে আসক্ত ছিলেন। স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন নানাভাবে বুঝিয়ে মাদক থেকে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি তাকে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝড়গা-বিবাদ হতো। এলাকার এক দোকানে ৪ হাজার টাকা বাঁকি করেন। দোকানদার বাঁকি টাকার জন্য চাপ দেন রাজদুল ইসলামকে। পরে বাড়িতে ফিরে এসে স্ত্রীর কাছে টাকা চান। স্ত্রীর এ টাকা দিতে না পারায় অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেন। এই গালি-গালাজ সহ্য করতে না পেরে ঘরের বারান্দার রুয়া(ডাবের) সাথে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। তবে এই মৃত্যু ঘটনাটি রহস্যজনক বলে পুলিশের ধারণা। ঘটনার তারপর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
বাঘা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাকুড়িয়া কারিগরপাড়া গ্রামের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখি বারান্দায় লাশ ঝুলছে। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তদন্ত আবদুল করিম বলেন, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় ৩০৬ ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে।