নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন ৩নং জিরতলী ইউনিয়ন ফাজিলপুর গ্রামের জনৈক মোঃ রফিক উল্যার মেয়ে ভিকটিম রোমানা আক্তার এর স্বামী একই উপজেলার ৮নং বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আমানতপুর গ্রামের বরকত উল্যার ছেলে মোঃ পারভেজ নিজ সন্তান সহকারে শ্বাসরোধে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করিয়া হত্যার চেষ্টা করেছে। ভিকটিম রোমানা আক্তার প্রাণে বাঁচলেও শরীরে রয়ে যায় ক্ষত বিক্ষতের দাগ।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় আসামী পারভেজ ও তাহার ১ম স্ত্রী মুন্নি বেগম ভিকটিম রোমানা আক্তারকে আসামীর বাসায় আটক করিয়া এ ঘটনা ঘটায়। বিগত ২০১৪ ইং সনে আসামী মোঃ পারভেজ এর সহিত ভিকটিম রোমানা আক্তারের বিবাহ হয়। বর্তমানে ভিকটিম ৬মাসের গর্ভবতী অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু বিবাহ হওয়ার সময় আসামী পারভেজ কৌশলে রোমানার বিবাহের কাবিন সম্পাদন করে নাই এবং ভিকটিমকে তাহার পিতার বাড়ীতে রাখিয়া আসামী পারভেজ ভিকটিমের নিকট আসা যাওয়া করিত। পরবর্তীতে ভিকটিম রোমানা আক্তার আসামী পারভেজকে তাহাদের বিবাহের কাবিন সম্পাদন করার জন্য অনুরোধ করিলে আসামী পারভেজ আজ কাল বলিয়া কালক্ষেপন করে। একপর্যায়ে আসামী পারভেজ গত (২৩ ফেব্রুয়ারী) ভিকটিম রোমানাকে কল করিয়া জানায় ভিকটিম রোমানা আক্তার আসামীর বেগমগঞ্জ থানাধীন আমানতপুর গ্রামের ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন হাউজিংয়ের ভাড়া বাসায় গেলে ভিকটিমকে কাবিননামা রেজিস্ট্রি করিয়া দিবে। আসামী পারভেজ এর কথা মতে ভিকটিম রোমানা (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় আসামীর বর্নিত বাসায় গেলে আসামী পারভেজ ও তাহার ১ম স্ত্রী মুন্নি বেগম ভিকটিম রোমানা আক্তারকে আটক করিয়া রাখে। পরবর্তীতে আসামী পারভেজ এর ১ম স্ত্রী ভিকটিমের চুলের মুঠি ধরিয়া খাটের মধ্যে চেপে ধরে রাখলে আসামী পারভেজ জোর পূর্বক ভিকটিমের হাত পা উড়না দিয়ে বেঁধে ফেলে। তারপর ভিকটিমতে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামী পারভেজ ভিকটিম রোমানার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে এবং ভিকটিম রোমানার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ বস্তাবন্ধি করে ফেলার জন্য বস্তা প্রস্তুত করে। ভিকটিম চিৎকার দিলে আসামী পারভেজ ভিকটিমের গলা ভিকটিমের উড়না দিয়া প্যাঁচাইয়া শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে আসামীর পারভেজ এর বাসায় আসিয়া চিৎকারে দিয়ে ভিকটিম রোমানা আক্তারকে আসামী পারভেজ ও তার স্ত্রী মুন্নি বেগমের কবল হইতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতাল আনিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
এই বিষয়ে ভিকটিম রোমানা আক্তার বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায়ি একটি নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।