নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন ৫নং ছয়ানী ইউনিয়ন বড় মেহেদীপুর গ্রামের জনৈক মোঃ জাফর আহাম্মদ এর বুদ্ধি- প্রতিবন্ধি মেয়েকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে একই এলাকার মৃত শফি উল্যার ছেলে নিজাম।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকাল অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় আসামী নিজাম উদ্দিন (৩৬) এর স্ত্রী-সন্তান তাহার বসত বাড়ীতে না থাকার সুযোগে বর্নিত আসামী নিজাম জাফর আহাম্মদের বুদ্ধি-প্রতিবন্ধি মেয়ে ভিকটিম পলি আক্তার (২২)’কে আসামীর বাড়ীর সামনে দেখিয়া পান খাওয়ানোর কথা বলিয়া তাহার বসত ঘরে নিয়ে যায়। অতঃপর আসামী নিজাম ভিকটিম পলিকে আসামীর শয়ন কক্ষে নিয়া ভিকটিমের ইচ্ছের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম পলি আক্তার জোর করিয়া ধর্ষক নিজামের নিকট থেকে বাহির হয়ে ভিকটিমের বাড়ীতে আসিয়া বাড়ীর লোকজনকে বিষয়টি জানায়। বিষয়টি ভিকটিমের বাবা জাফর আহাম্মদ জানতে পারিয়া আইনের আশ্রয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বাড়ি হওয়ার সময় ভিকটিম ধর্ষক নিজাম আর তাদের এলাকার স্থানীয় মেম্বার ভিকটিম ও তার পিতাকে পথ আটকে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বার সালেহ উদ্দিন ভিকটিমকে অহেতুক ধর্ষণ টেষ্ট করানোর নামে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ধর্ষণ সংক্রান্তে টেষ্ট করানোর অপচেষ্টা করে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃকপক্ষ এই ভাবে টেষ্ট করানো যাবেনা বলে ভিকটিম ও তার পিতাকে আইনের সহায়তায় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। এতে করে ভিকটিমের পিতা ভিকটিম পলি আক্তার ও ধর্ষক নিজামকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে চলে আসে। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় মেম্বার সালেহে উদ্দিনের নির্দেশে ধর্ষক নিজাম উদ্দিনের দুই ভাই সহকারে স্থানীয় ১২/১৩জন সন্ত্রাসী ভিকটিমের বাড়ীতে আসিয়া হামলা শুরু করে। একপর্যায়ে ধর্ষকের দুই ভাই নুর নবী ও মোঃ ছোটন সহকারে কতিপয় সন্ত্রাসীরা ধর্ষক নিজাম উদ্দিনকে জোর পূর্বক নিয়া যায় এবং হামলা অব্যাহত রাখিয়া ভিকটিমের বাড়ীতে ৬০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। ভিকটিমের পিতা প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে তাহার ভিকটিমের জেঠার বাড়ীতে গিয়ে উঠে। এতে করে ধর্ষক এবং সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত না হইয়া পুনরায় ধর্ষক নিজামের নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসীরা পুনরায় ভিকটিমের জেঠার বাড়ীতে গিয়ে হামলা শুরু করে এবং ভিকটিমকে অপহরণ করিয়া নিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন বাধা প্রদান করিলে ধর্ষন নিজাম সহকারে তার দুই ভাই ও কতিপয় সন্ত্রাসীরা সেখানে ভাংচুর করিয়া লন্ড ভন্ড করে ফেলে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এবং সংবাদ প্রদানের মাধ্যমে বেগমগঞ্জ থানাধীন রাজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই মোঃ সাহেদুল ইসলাম ভিকটিম পলি আক্তারকে উদ্ধার পূর্বক বেগমগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা জাফর আহাম্মদ বাদী হয়ে বর্নিত ধর্ষক ও স্থানীয় মেম্বার সহ কতিপয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ফৌজদারী অপরাধ সংঘটনের ধারায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহিদুল হক রনি সাংবাদিকদের জানান। ঘটনার বিষয়ে একটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষে পুলিশ কাজ করছে। শীঘ্রই আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।