রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের রাজশাহীতে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শশুরকে হত্যার চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

আমিনবাজারের খাস জমি দখলকারী জনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিনিধি / ৫৪
নিউজ আপঃ সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৪:২১ অপরাহ্ন

সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়নের বেগুনবাড়ী মৌজায় সরকারী ১ নং খাস খতিয়ানের জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করিয়া আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইমরান আহম্মেদ জনি ও তার ভাই রনির বিরুদ্ধে।

এঘটনায় খাস খতিয়ানের জমিগুলো আত্মসাৎকারী জালিয়াত চক্রের হাত থেকে উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেল বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন জমিগুলোর পুর্বের ভোগদখলকারী হাজী মোঃ মাহতাব উদ্দিন ও মোসাঃ আমেনা বেগম। পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা প্রশাসক ঢাকাকে আবেদনের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত ইমরান আহম্মেদ জনি আমিনবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী। ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজের মামা এবং নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় আধিপত্ত্য বিস্তার করে চলেছে। পদ পাওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্টতার ছবি পোষ্টসহ নিজের ক্ষমতা জাহির করে এলাকার অসহায় ও নিরীহ মানুষকে হুমকি-ধামকি, মারধরের মাধ্যমে ধরাকে সরা জ্ঞ্যান করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে ইমরান আহম্মেদ জনির বিরুদ্ধে।

এ অবস্থায় তাকে যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কিংবা অন্য কোন পদ দেয়া হলে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে। এজন্য যুবলীগের দায়িত্বে থাকা নেতাকর্মীদেরকে খোঁজ নিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদেরকে যেন পদ না দেয়া হয় সেই দাবি জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসীরা।

ভুক্তভোগী মাহাতাব উদ্দিন ও আমেনা বেগমের লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ আফতাব উদ্দিন বেগুনবাড়ি মৌজার এস.এ রেকর্ডীয় মালিকগনের কাছ থেকে কিছু জমি ক্রয় করে একটি ১ তলা এবং একটি ৩ তলা ভবন নির্মান করিয়া ভোগদখলে থাকা অবস্থায় তাহার স্ত্রীকে হেবা করিয়া দিয়ে চিরতরে নিঃস্বত্তবান হন। পরবর্তীতে তাহার স্ত্রী নিঃসন্তান অবস্থায় স্বামী আফতাব উদ্দিনকে ওয়ারিশ রেখে মারা যান।
উক্ত সম্পতিগুলো ওয়ারিশসুত্রে দরখাস্তকারীদের ভোগদখলে থাকা অবস্থায় আর.এস রেকর্ডে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হাট-বাজারের গ্যাজেটের মাধ্যমে ১ নং খাস খতিয়ানের ৭১৮, ৭১৯, ৭২০ ও ৭৪২ নং দাগে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে ডেপুটি কমিশনারের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়।

এদিকে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর আমিনবাজার ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ইমরান আহম্মেদ জনি ও তার বড়ভাই রনি অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজসে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তাহাদের মা ফরিদা ইয়াসমিনের নামে সাভার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত ১৬৮০৫ নম্বর দলিল সৃজন করিয়া ১ নং খাস খতিয়ানের সম্পত্তি থেকে মারধর ও মিথ্যা মামলার হুমকিসহ রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে ভোগদখলকারীদেরকে উচ্ছেদ করে জবর দখলের মাধ্যমে সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎ করিয়াছে।

এ অবস্থায় ভুক্তভোগী হাজী মোঃ মাহাতাব উদ্দিন ও মোসাঃ আমেনা বেগম সরকারী খাস খতিয়ানের জমিগুলো জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি দলিল করে আত্মসাৎকারী জালিয়াত চক্রের হাত থেকে উদ্ধারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইমরান আহম্মেদ জনি বলেন, আমার নানী এস.এ রেকর্ডীয় মালিক হিসেবে আমার মাকে তার সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন। পরবর্তীতে সেটা আর.এস রেকর্ডে সরকারের পক্ষে গ্যাজেট হয়। এরকম অন্তত ৫০ টা স্থাপনা রয়েছে খাস জমিতে। সরকার যদি ভেঙ্গে দেয় তাহলে সবারটাই ভাঙ্গবে। তবে অভিযোগকারী হাজী মাহাতাব উদ্দিন তার কিছু হয় না, ইউপি চেয়ারম্যান রকিব আহম্মেদ তার মামা বলে জানান তিনি।

তবে অভিযোগকারী এবং ভোক্তভোগী আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর কোন আত্মীয় নন জনির মা। তারা আমাদের বাড়িতে আশ্রিত থাকতেন। হঠাৎ আমার স্বামী মারা গেলে তারা জোরপূর্বক আমাকে বাড়ি থেকে হুমকি দিয়ে বের করে দেয় এবং ভূয়া একটি দলিল তৈরী করে আমার স্বামীর দুটি মার্কেট ও বাড়িটিও জবর দখল করে রেখেছে। এসব ঘটনায় আদালতে মামলাও রয়েছে, আমি সরকারের কাছে সুষ্ঠ বিচার চাই।

সরকারী খাস খতিয়ানের সম্পত্তি জালজালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে সাভারের আমিন বাজার রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাছুমা আক্তার বলেন, লিখিত অভিযোগটি আমরা হাতে পেয়েছি। বিষয়টি সার্ভেয়ারকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কেউ যদি সরকারী সম্পদ দখল করে থাকে তাহলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তা উদ্ধার করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর