রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চামটা আদর্শ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবৈধ ভাবে নিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় চামটা গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতা করেন, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, লিটন বিশ্বাস, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, ভগেন বিশ্বাস, ভোলা মন্ডল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চামটা আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি (১১৩২৮৩) গত ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি স্থাপনের পর থেকে মোহাম্মদ আলী নামে একজন ব্যক্তি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিশা সরকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর প্রনব কুমার রায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক (হিন্দুধর্ম) সন্ধ্যা বিশ্বাস ২০১২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান এমপিওর আগ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। গত ২০১২ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সন্ধ্যা রানী বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত কাগজপত্রে সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) সহ একাধিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আভা রানী বিশ্বাস ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হওয়ায় ইংরেজি পদটিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় না। সরকার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া চালু করায় গত দেড় বছর পূর্বে রাতারাতি অবৈধ ভাবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে সরোজ কুমার বসুকে বর্তমান সভাপতি নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস নিয়োগ প্রদান করেন। সরোজ কুমার বসু স্বাস্থ্য বিভাগে “যক্ষা প্রকল্পে” দীর্ঘদিন সুপার ভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। গত ২০২২ সালের ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকেই সভাপতি নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস ও অবৈধ ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার বসু জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মোটা অংকের বিনিময়ে নামসর্বস্ব পত্রিকায় ব্যাকডেটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ শুরু করেন। ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আভা রানী বিশ্বাসকে অন্য পদ দেখিয়ে এক যুগ আগের তারিখে ইংরেজি বিষয়ে সনজিত কুমার রায়কে নিয়োগ দেখিয়েছেন। সনজিত কুমার রায় ১৯৯৯ সাল থেকে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলে কিভাবে ২০১২ সালে বিদ্যালয়ের কমিটিতে দাতা সদস্য হিসেবে ছিলেন। ২০০৪ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে শান্তি রানী মন্ডল সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) পদে কর্মরত থাকলেও বর্তমান প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মোটা অংকের বিনিময়ে ওই পদে চন্দ্র কান্ত মন্ডলকে নিয়োগ দেখিয়েছেন (যিনি আশা কুঠিবাড়ী ব্রাঞ্চ, সদর রাজবাড়ীতে কর্মরত)। এসব নিয়োগ সম্পন্নের ক্ষেত্রে নামসর্বস্ব পত্রিকায় ব্যাকডেটে বিজ্ঞপ্তি দেখানো হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার বসু এবং সভাপতি নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাসের ব্যাপক দুনীতি, অনিয়মের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিকে (শিক্ষক নিবনন্ধনবিহীন) অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন।
তারা বলেন, অবৈধভাবে শিক্ষকদেরকে নিয়োগ দেওয়া সুরুজ কুমার বসু, সঞ্জিত কুমার রায়, চন্দ্রকান্ত মন্ডল, জিল্লুর রহমান আগে কোনদিনও এদের স্কুলে পাঠদান করতে দেখিনি। এরা কি করে স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আমদের দাবী সুষ্ঠু তদন্ত করে অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোড় দাবী জানাচ্ছি।
একাধিকবার অভিযোগ দেওয়া হলেও প্রশাসন কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সরোজ বসু বলেন, নিয়মানুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। একটি মহল এখন নানা ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।