সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের রাজশাহীতে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শশুরকে হত্যার চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

পেঁয়াজ চাষে ক্ষতিগ্রস্থ রাজবাড়ির কৃষক

একে আজাদ, রাজবাড়ী / ৫২
নিউজ আপঃ সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩, ৪:২০ অপরাহ্ন

কৃষি সমৃদ্ধ রাজবাড়ী জেলা পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে।দেশে উৎপাদিত মোট পেঁয়াজের ১৪ শতাংশ উৎপাদন হয় এ জেলা থেকে। এ বছর বিঘা প্রতি মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদে চাষীদের সার, বীজ, কীটনাশক, জমি চাষ ও দিনমজুরসহ খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা করে। বিঘা প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ মণ। মান ভেদে প্রতি মণ পেঁয়াজের বর্তমান পাইকারী বাজার দর ১০০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা। সেই হিসেবে বিঘা প্রতি উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করে খরচ উঠছে না। যার ফলে কৃষকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরে জেলার ৫টি উপজেলায় এ বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ঘিকমলা এলাকার পেঁয়াজ চাষী হাবিবুর সরদার বিবার্বতা কে বলেন, আমি এ বছর এক একর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগিয়েছিলাম।বীজ কিনেছি ২হাজার ৫০০ টাকা মণ।সব মিলে প্রতি বিঘায় খরচ পড়েছে বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। বর্তমানে পেঁয়াজের যে বাজার দর তাতে আমার বিঘা প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে লোকসান হবে। এত কষ্ট করে টাকা খরচ করে পেঁয়াজ লাগিয়ে যদি দামটাই না পাই তাহলে আমরা চলবো কীভাবে ?
মুকুল সরদার নামে আরেক পেঁয়াজ চাষী বিবার্বতা কে বলেন, আমি  ৩০ শতক জমিতে পেঁয়াজ লাগিয়েছিলাম।আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের যে বাজার দর তাতে খরচ উঠতে পারে। আমাদের পেয়াজ নাবি তাই উঠতে আরও সময় লাগবে। তত দিনে মনে হয় এই দাম থাকবে না। দুশ্চিন্তায় আছি।
পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষী রহমান মন্ডল বিবার্বতা কে বলেন, এ বছর শুরু থেকেই মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম ভালো। প্রতি মণ ১৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে শুরুতে।তবে এখন সেটি ১০০০ থেকে ১১০০ টায় নেমে এসেছে। তারপর আবার পাইকারী বাজারে পেঁয়াজ বেঁচতে গেলে ধলতার জন্য মণ প্রতি ৪ কেজি করে বাদ যাওয়ায় আরও বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অর্থাৎ এক মণ পেঁয়াজ বিক্রি করলে ৩৬ কেজির দাম পাচ্ছি।
আরেক পেঁয়াজ চাষী ইদ্রিস মিয়া বিবার্বতা কে বলেন, সরকার আমাদের সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান করলে এবং পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ করলে আমরা সাধারণ চাষীরা পেঁয়াজের ভালো দাম পাবো। অন্ততঃ উৎপাদন খরচটা তো ওঠাতে পারবো।
রাজবাড়ীর নারুয়া বাজারে পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বিবার্বতা কে বলছে, মৌসমের শুরুতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজার ভালো ছিলো। তবে সময়ের সাথে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে পাইকারী বাজারে ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আমদানী করা পেঁয়াজ আসলে মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস.এম শহীদ নূর আকবর বিবার্বতা কে বলেন, প্রতি বছর এ জেলায় ৫ হাজার হেক্টরের উপরে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়। এর বেশীর ভাগই উৎপাদন হয় গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দি উপজেলাতে। এ বছর জেলায় ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়েছে । চাষীরা যেন লাভবান হন, সে জন্য সবসময় তাদেরকে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া লাভজনক উৎপাদনের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য বলা হয়ে থাকে তাদেরকে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর