আগামী ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টুর বিজয় নিশ্চিত করতে একাত্তা হয়েছে উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগ।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের পরই নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বিশাল প্রচার মিছিল ও পথসভা করেছে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল এর সভাপতিত্বে ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবিরের সঞ্চালনায় রোববার বিকেল তিনটায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পুঠিয়া দুর্গাপুর আসনের সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দ্বারা (এমপি)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আমানুল হাসান দুদু, জাকিরুল ইসলাম সান্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ প্রমুখ ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্টু, অধ্যক্ষ নসিম উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউপি আহব্বায়ক আব্দুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক উপজেলা হিন্দু বৈদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডে বাকু, সদস্য মাসুদ রানা তিলু, কামাল হোসেন, বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, বঙ্গবন্ধু সেনিকলীগ উপজেলা শাখা ও বাঘা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিল্টন, সম্পাদক নয়ন সরকার ও উপজেলা পৌরসভা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।
সভায় নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে বক্তারা বলেন, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক। নৌকা আওয়ামীলীগের প্রতীক, নৌকা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক। নৌকা যুবলীগের প্রতীক, নৌকা কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ তাঁতীলীগ, সৈনিক লীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রতিক। সর্বোপরি নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। এই নির্বাচনে নৌকা যদি হেরে যায়, তাহলে শুধু শাহিনুর রহমান পিন্টু হারবেনা। হারবে উপজেলা আওয়ামীলীগ, হারবে জেলা আওয়ামীলীগ। হারবে এই জনপদের উন্নয়নের রুপকার আলহাজ্জ শাহরিয়ার আলম। আর শাহরিয়ার আলম হেরে যাওয়া মানে হারবে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর শেখ হাসিনা হেরে যাওয়া মানে আমাদের অস্তিত্ব হেরে যাওয়া। আর অস্তিত্ব যদি হেরে যায় তাহলে হেরে যাবে উন্নয়ন। অতএব এই পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে পাওয়া না পাওয়ার বেদনা ভূলে সকল প্রকার রাগ ক্ষোভ অভিমান ত্যাগ করে আগামী ২৯ ডিসেম্বর নৌকাকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাতে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই নৌকার জয় অবসম্ভাবি।
সভার আগে প্রতিক বরাদ্দের পরেই দ্বারা এমপির নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রচারনা মিছিল করেছে হাজারো অনুসারী এবং নৌকায় সমর্থন কারী নেতাকর্মি ও সাধারন ভোটারগন। পৌরসভার প্রায় সহস্রাধিক নারী-পুরুষ এ প্রচারনায় অংশ নেয়। মিছিলটি উপজেলা পার্টি অফিস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু চত্বর হয়ে নারায়নপুর বাজার প্রদক্ষিন করে পুনরায় বঙ্গবন্ধু চত্বর হয়ে বাঘা বাজার প্রদক্ষিন শেষে দলিয় কার্যালয়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হয়। মিছিলে বিভিন্ন শ্লোগানে নৌকা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী পিন্টুর পক্ষে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়।প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নৌকার সমর্থকদের মাঝে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।
সাধারন ভোটারদের নিকট নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিন্টুর প্রতি সমর্থন জানিয়ে তারা বলেন, মেয়র হিসেবে পিন্টুকে দেখতে চাই। তিনি সৎ এবং পরোপকারী। আমরা প্রতিক নয়, ব্যক্তি পিন্টুকে দেখে ভোট দেবো। কারন, তাকে আমরা সব সময় পাশে পেয়েছি, তিনি সব সময় আমাদের খোঁজ খবর নেন। বিগত দিনে প্যানেল মেয়র পিন্টুর কাছে আমরা কোনো কিছুর জন্য আবদার করলে পৌরসভায় বরাদ্দ না থাকলেও তার স্বাধ্য অনুযায়ী নিজের তহবিল থেকে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। এ পৌরসভাকে আধুনিক মডেল পৌরসভায় রুপান্তর করতে হলে পিন্টুর কোন বিকল্প নেই।
এ সময় মেয়র প্রার্থী পিন্টু বলেন, আমাকে ভালোবেসে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও প্রতিটি ওয়ার্ডের উঠান বৈঠকে হাজারো জনতার অংশগ্রহণে চলছে জোর প্রচারণা এতে আমি খুব খুশি। এ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা একাত্তা হয়ে নৌকার পক্ষে হাজারো নারী পুরুষ ভোটারের সমন্বয়ে নির্বাচনী প্রচারনার গণ-জোয়ার শুরু হয়েছে। সর্বপরি সাধারণ ভোটাররা আমাকে ব্যাপক সমর্থন করছেন। তাই আমি আশাবাদী, আগামী নির্বাচনে জনগন আমাকে রায় দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে ইনশাআল্লাহ।
প্রসঙ্গত আগামী ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌরসভার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচনে মেয়র পদে সতন্ত্র হিসেবে জগ প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক মেয়র আক্কাস আলী। এছাড়াও মেয়র পদে বিএনপি জামায়াত দলীয়ভাবে অংশগ্রহন না করলেও সতন্ত্র হিসেবে লড়াই করছেন যথাক্রমে কম্পিউটার প্রতীকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন, নারিকেল গাছ প্রতীকে উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম এবং মোবাইল প্রতীকে নির্দলীয় ইসরাফিল আলম।
এই বিভাগের আরও খবর....