১৩ নভেম্বর, রবিবার সকালে মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধীস্থল রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার পদমদী গ্রামে পুষ্পমাল্য অর্পন করে, বাংলা একাডেমি, উপজেলা প্রশাসন, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদ ও মীর মশাররফ হোসেন কলেজসহ স্থানীয় বিভিন্ন সাহিত্য এবং সামাজিক সংগঠন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও প্রধান অতিথি হিসেবে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলা একাডেমীর সচিব এ এইচ এম লোকমান, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, স্বাগত বক্তব্য বাংলা একাডেমির পরিচালক ডা. কে. এম. মুজাহিদুল ইসলাম ও প্রাবন্ধিক পাঠ করেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.আবুল আহসান চৌধুরী ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা।
এসময় বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি মহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, খুব শীঘ্রই মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রটি গবেষনা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি এখানে মীর মশাররফ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। তার স্মৃতি রক্ষার্থে সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন রত্নবতী, বসন্তকুমারী, জমিদার দর্পণ ও বিসাদসিন্ধুসহ ৩৭টি গ্রন্থ-নাটক ও কবিতা রচনা করেছেন।