রাজবাড়ীর পাংশা থানা এলাকায় পুলিশের অভিযানে ছিনতাইয়ের দশ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেলসহ মো. খালিদ বিন ওয়ালিদ (২৪) নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান প্রেস কনফারেন্স এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাকৃত ছিনতাইকারী মো. খালিদ বিন ওয়ালিদ পাংশা নারায়নপুরের আজিজুল মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ জানায়,গত ২৬ অক্টোবর দিনগত রাতে একটি মামলার প্রেক্ষিতে পাংশা সরদার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের খালিদ বিন ওয়ালিদকে গ্রেফতার করা হয়। পড়ে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার ২ নম্বর আসামি নারায়নপুরের প্রিন্সের বন্ধু রাকিবুল হাসান জিমের বাড়ীর গোডাউন থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি লাল রংয়ের টিভিএস ১৫০সিসি একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়,গত (১৭ অক্টোবর) শেখ এন্টার প্রাইজ (ডিস্টিবিউশন হাউস) নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেলস সুপারভাইজার দোলন চক্রবর্তী বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় গত ১৬ অক্টোবর সকালে রাজবাড়ী শহরের মনোক্কা টাওয়ারের সামনে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে শহরের আনসার ক্যাম্প মোড় স্বজনকান্দা হেড অফিসে ক্যাশিয়ারের কাছে ১৪ লাখ টাকা জমা রাখেন। বাকি ১০ লাখ টাকা একটি স্কুল ব্যাগে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পাংশা অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন। যাওয়ার পথে একটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন এসে তার গতিরোধ করে। এ সময় তারা টাকার ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করে। এক পর্যায়ে মামলার বাদী তাদের চিনে ফেলার কথা বললে মামলার ১ নম্বর আসামি এনামুল হক (৩০) ধারালো ছুরি দিয়ে তার হাতের কব্জির উপরে ও বুকের মাঝখানে কোপ দিয়ে জখম করে ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় পাশ দিয়ে যাওয়া একটি মাইক্রোবাসচালক বিষয়টি বুঝতে পেরে ছিনতাইকারী ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে থাকে। চিৎকার শুনে লোকজন ও কাছে থাকা পাংশা থানা পুলিশের দ্বায়িত্বরত এগিয়ে আসলে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, এটি একটি ছিনতাইকারী চক্র। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।