নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মডেল থানাধীন ১৩নং রসূলপুর ইউনিউনের ৮নং ওয়ার্ডস্থ লাউতলী গ্রামের সাবেক মহিলা মেম্বার মোসাম্মৎ ছকিনা বেগমের বাড়ীতে গতকাল (০৪ আগষ্ট) রাত অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে মহিলা মেম্বার ছকিনার সাথে আলোচনাকালে তিনি আমাদেরকে জানান, “গতকাল রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় আমরা রাতের খাবার শেষে স্ব-পরিবারে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়ি।অতঃপর রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় হঠাৎ আমাদের বসত ঘরের দরজা ভাঙ্গার আওয়াজ শুনে আমরা ঘুম থেকে জেগে যাই এবং তাহাহুড়ো করে উঠে ঘরের লাইট জ্বালিয়ে দেখি আমাদের বসত ঘরে ১৪/১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত তাহাদের থাকা অস্ত্র তাক করিয়ে আমাদেরকে চুপ থাকার জন্য বলে নাহলে আমাদের সবাইকে কেটে লাশ ফেলে যাবে। আমার মেয়ে সোনিয়া সুলতানা (২২) অর্ধ ঘুমে উঠে এইরকম অবস্থা দেখে চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করিলে একজন মুখোশদারী ডাকাত তাহার হাতে থাকা ধারালো একটি বড় ছুরি দিয়ে আমার সোনিয়া সুলতানা (২২) এর হাটুর উপরে স্বজোরে আঘাত করলে সাথে সাথে আমার মেয়েরে বাম পায়ের হাটুর উপরে মারাত্বক ভাবে কেটে যায় এবং প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণ হয়।একপর্যায়ে ডাকাতেরা আমাদের সকলকে আমাদের ঘরে থাকা বিভিন্ন উড়না এবং রশি দিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতরা আমাদের ঘরের সকল মালামাল উলট-পালট করিয়া আমাদের বসত ঘরে থাকা আলমারীর সিন্ধুকের তালা ভাঙ্গিয়া আলমারীতে রক্ষিত নগদ দুই লক্ষ টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল, ঘড়ি অন্যান্য অনুমান সাত লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে ডাকাতরা আমাদেরকে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় রাখিয়া চিৎকার দিলে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়া চলে যায়”
এই বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহিদুল হক রনির সহিত আলাপকালে তিনি জানান, গতকাল রাত রসূলপুরে ডাকাতির ঘটনা শুনে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আমাদের মোবাইল টিম যায় এবং ডাকাতির আলমত দেখতে পায়। একপর্যায়ে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে ভিকটিম সোনিয়া সুলতানা (২২)‘কে পুলিশের সহায়তায় বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। ভিকটিম বর্তমানে চিকিৎধীন আছেন এবং ডাকাতির ঘটনা সংঘটনের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এই বিষয়ে বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলা রুজু করা হয়েছে।