একজন জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ীর অভিভাবক। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের চার বারের পার্লামেন্টে রিয়াল মেম্বার। জেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন।যার একক নেতৃত্বে জেলা আওমিলিগ অতীতের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।
তার নির্বাচনী আসন রাজবাড়ী-২ (পাংশ, বালিয়াকান্দি, কালুখালী) নিয়ে গঠিত। যদিও এই আসন জিল্লুল হাকিম এমপি হওয়ার আগ অব্দি আওয়ামীলীগের দখলে ছিল না। অতীতে টি জামাতের আসন বলেই পরিচিত ছিল।
জিল্লুল হাকিম প্রথম বারের মতো ৯৬-এ রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়। তার আগের থেকেই এই তিন উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করে। যার ফলে এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় জিল্লুল হাকিম।
তবে ২০০১ সালের প্রহসনের নির্বাচনে জিল্লুল হাকিম পরাজিত হয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর কাছে।নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী উপজেলার হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী যখন এলাকা ছাড়া হতে বাধ্য হয় তখন ঢাকায় তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন জিল্লুল হাকিম। তাতেই হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আস্থা অর্জন করে।
২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজবাড়ী জেলা থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জনো নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় অবস্থান নেন জিল্লুল হাকিম। তখন থেকেই রাজবাড়ী আওয়ামী লীগের শক্ত দুর্গ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাজবাড়ীর দুইটি আসনেই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। যা ছিল জিল্লুল হাকিম এর সাংগঠনিক দক্ষতার ফলশ্রুতি।এতেই আস্থা অর্জন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শেখ হাসিনার।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি জিল্লুল হাকিম এর প্রতি আস্থা রেখে বারবার রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন।
সম্প্রতি সময়ে বিএনপি বিভিন্ন জেলায় আন্দলোন সংগ্রাম করার চেষ্টা চালালেও রাজবাড়ীতে তেমন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে নাই। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল মনে করেন এ জেলা আওয়ামী লীগের শক্তিশালী দূর্গ হবার কারনেই বিএনপি আন্দলোন করতে পারে না।
জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হলে তারা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি জিল্লুল এর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। যার ফল হিসেবে গত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেটা কি না যেকোনো জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিলো। এই মন্তব্য কিন্তু উপস্থিত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলে গেছেন।
একাধিক তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন এমপি জিল্লুল হাকিম আমার আস্থার নাম। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দু যেকোনো বিপদ আপদে পাশে থাকে। তাদের সুখ দুঃখের কথা শোনে। এটাই ভালো বাসা।
উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতৃবৃন্দ বলেন, এমপি জিল্লুল হাকিম এর সময়ে যে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় লাভ করেছে। যেখানে অন্যান্য জেলায় দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌর সভায় অন্য দলের প্রার্থী বিজয় লাভ করেছে। তবে রাজবাড়ী জেলা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
জেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি জিল্লুল হাকিম এর বয়স হয়েছে। তার এই বয়স কোন বাধা না সেটা তিনি প্রমাণ করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগ কে আরও শক্তিশালী করতে নিয়মিত জেলার তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে।
এই বিভাগের আরও খবর....