পাংশা পৌরসভা এলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভূমিহীনদের নামে ২ শতাংশ খাসজমি বরাদ্দ থেকে শুরু করে ঘর নির্মাণকাজের প্রতিটি ধাপে অনিয়ম ও নিম্নমানের দ্রব্যাদি ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগে জানা যায়।
সরেজমিনে সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে পাংশা পৌরসভার সত্যজিৎ পুর ও পার-নারানপুর গিয়ে দেখা যায় ২ স্থানে ২২ টি ঘরের কাজ চলছে।
দেখা যায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের ইট, বালু, কাঠ ও প্রয়োজনের তুলনায় সিমেন্ট কম ব্যবহার করা হচ্ছে।এই সকল ঘরে ১০ ও ১২ মিলি রড ব্যবহারের কথা থাকলেও ৮ ও ১০ মিলি ব্যবহার করা হচ্ছে।নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ হওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়েও বিপদের আশঙ্কা রয়েছে অনেকের।
ঘর নির্মাণ কারী মিস্তিরিদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের কিছু করার নাই। আমাদের যেমন মাল দিবে তেমন কাজ করবো আমরা। ইটের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলে কিছু ইট ১ নাম্বার আছে অধিকাংশ ৩ নাম্বার ইট। কতদিন এই ঘর গুলো টিকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বলে সর্বচ্চ ১০ বছর। কে এই কাজ করছে জানতে চাইলে তারা বলেন তপন দাদা ও ইউ এন ও অফিসের বিপ্লব দাদা।
সত্যজিৎ পুর নদীর পারে নির্মাণ ধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশের একাধিক ভূমি হীনদের অভিযোগ আমাদের নিজেদের ঘর জমি নেই।তবুও আমাদের একটা ঘরের ব্যবস্থা হলো না।
বিপ্লব ঘোষ বলেন, আমি ওই ঘরের কাজ করছি না। কাজ দেখা শোনা করে উপ- প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হেকমত আলী। কাজ করছে তপন বিশ্বাস। কোন শুয়োরের বাচ্চা আমার নাম বল্লো।
পাংশা উপজেলা উপ-প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হেকমত আলী বলেন, নিম্ন মানের ইটের যে গাড়ি আসছে তা ফিরিয়ে দিয়ে ভালো ইট আনতে বলা হয়েছে। নিম্ন মানের যে ইট দিয়ে দেওয়াল তুলা হয়ে গেছে সে গুলো কি করবেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আপনি বলেন এই দেওয়াল গুলো কি আর ভাঙা সম্ভব। মিস্তিরিরা বলছে এই ঘর গুলো ১০ বছরের বেশি টিকবে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মিস্তিরিরা কিছু জানে না।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, নিম্ন মানের ইট ব্যবহারের সুযোগ নেই। আমার জানা মতে যে রড ব্যবহারের কথা সেই রড ব্যবহার হচ্ছে ঘরের কাজে। আমি এখনি যাচ্ছি ঘরের কাজ পরিদর্শনে।
এই বিভাগের আরও খবর....