খুলনার পাইকগাছায় সরকারী খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ হয়েছে। তবে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও আজও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসির উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগে জানাগেছে, গত ১৭ মে উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে মরাকুচিয়া খালের উপর টেংরামারী গ্রামের অনুকুল মন্ডলের ছেলে শংকর মন্ডল অবৈধভাবে পাঁকা দোকান ঘর নিমাণ করেন। সরকারী খালের উপর পাঁকা স্থাপনা নির্মাণে অভিযোগে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা সহকরী কমিশনার ভূমিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য বলেন। কিন্তু প্রায় ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসির মধ্য ক্ষোভের সৃর্ষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় প্রনব ব্যানার্জী বলেন, মরা কুচিয়া খাল দখল করে এ রকম বহু স্থপনা তৈরী হয়েছে। শংকর মন্ডল বলেন, জমি সরকারের কিন্তু ওইখানে আমার মামা অধির কৃষ্ণ মন্ডল থেকে আমাকে বসিয়েছে। আমি ১০ বছর ধরে এখানে মুদি ও কাপড়ের ব্যবসা করি।
সোলাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, আমি এ বিষয় জানিনা যদি কেউ সরকারী জায়গায় স্থাপনা তৈরী করে সেটি সঠিক হবে না।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, অবৈধভাবে সরকারী জায়গা দখল করে স্থাপনা তৈরী করবে সেটি হবেনা।