পাবনার সাঁথিয়ায় ট্রাকের সিটকভারের সাথে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আলামিন (১৬) নামে এক ট্রাকের হেলপারের লাশ উদ্ধার করেছে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
উপজেলার মহিষাকোলা নামক স্থানে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাছ থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আলামিন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর আমতলা গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে।
থানা পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,গত শনিবার ঢাকা মেট্রো (১৩-০৩৫৪) ট্রাকে করে নারায়নগঞ্জ থেকে এসিআই মিলের ভূসি বোঝাই করে সিরাজগঞ্জ আসে ট্রাকটি। ওই দিন মালামাল আনলোড না হওয়ায় ট্রাকের ড্রাইভার হেলপার আলামিনকে গাড়ির নিকট রেখে বাসায় চলে যায়।
পরদিন ট্রাকের চালক সকালে ভূষি আনলোড করতে এসে দেখে যে গাড়ী ও হেলপার নেই। বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা আল আমিনের পরিবার ও ট্রাক মালিক।
সিরাজগঞ্জ সদর জেলার বিএ কলেজ রোড গ্রামের মৃত মতিউর রহমান আকন্দ এর ছেলে ট্রাক মালিক রেজাউল আলম লেবু গত ২১ মে রাতে কামারখন্দ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন যে, এসিআই কোম্পানীর গেটের সামনে রাখা তার মাল বোঝাই ট্রাকটি কে বা কাহারা হেলপারসহ নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে থানা পুলিশের মাধ্যমে তাঁর পরিবার জানতে পারে আল আমিনের লাশের খবর।
গাড়ীতে ১২ লাখ টাকার ভূষি ছিল। দুর্বৃত্তরা গাড়ীটি ছিনতাই করে নিয়ে ভূষি আনলোড করে আলামিনকে হত্যা করে লাশ ট্রাকের সিটকভারে বেধে রেখে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের মহিষাকোলা নামক স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা- পাবনা মহাসড়কের সাঁথিয়া উপজেলার মহিষাকোলা নামক স্থানে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাছে একটি ট্রাক ( ঢাকা মেট্রো ১৩-০৩৫৪) গেল ৩দিন ধরে দাড়ানো ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় লাশের পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়।
স্থানীয়রা ট্রাকের সিটকভারের সাথে হাত, পা বাধা অবস্থায় আল আমিনের লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ লাশের পরিচয় শনাক্ত করে এবং বুধবার ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করেন।