ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দশ বছর পর্যায়বৃত্তি অনুসরণপূর্বক ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুষ্টিত হবে আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক দেশ ব্যাপী জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হবে।
এ উপলক্ষ্যে উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি অফিসারের সম্মেলন কক্ষে ২৩ মে অনুষ্টিত হয়েছে। ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার ০৫টি ইউনিয়নের জন্য ইতিমধ্যে ৩শত ১৮ জন গননাকারী,৫৭ জন সুপারভাইজার ও ২ জন জোনাল অফিসার ও ২ জন আই টি অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
এই সকল জনবলকে ৪-৭ জুন ও ৮-১১ জুন পর্যন্ত দুইটি ধাপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা সম্পূর্ণভাবে ট্যাবের মাধ্যমে সংগ্রহ করে সুপারভাইজার ও জোনাল অফিসারদের মাধ্যমে প্রেরণ করবেন।
এই শুমারির মাধ্যমে সঠিক জনসংখ্যা জানার পাশাপাশি শিক্ষার হার,আর্থ-সামাজিক অবস্থা,তথ্য প্রযুক্তিতে অগ্রসর হওয়া,পেশা,গৃহ ও ভূমিহীনদের সংখ্যা,স্যানিটাইজেশনের উন্নতির চিত্র তুলে আনা হবে।এই শুমারির মাধ্যমে স্ব-স্ব এলাকার সামগ্রিক বাজেট ও সার্বিক উন্নয়ন করতে এই শুমারির সঠিক তথ্য দেশের স্বার্থে প্রয়োজন বলে জানানো হয়।পরিসংখ্যান আইন-২০১৩ অনুযায়ী সরকারি জরিপ ও শুমারি কাজে সকলেই তথ্য দিতে বাধ্য।
জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রচার প্রচারণার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এইজন্য মসজিদে মসজিদে খুতবার সময় মুসুল্লীদের জানানো,মাইকিং,লিফলেট বিতরণ সহ যাবতীয় প্রচরণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ হোসেন বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীদের সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আমাদের শুমারির কাজ সঠিক ও সুষ্টভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
একই সাথে আমরা আশাবাদী তজুমদ্দিন উপজেলায় আমরা আপনাদের সহযোগিতায় শুমারির কাজ সুষ্টভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগমের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহিউদ্দিন পোদ্দার, ইউ পি চেয়ারম্যান এ কে এম শহিদুল্লাহ কিরন,আবু তাহের মিয়া, মোঃরাসেল, মেহেদী হাসান মিশু, মোঃনুরনবী শিকদার। প্রেস ক্লাব সভাপতি রফিক সাদী সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।