রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের রাজশাহীতে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শশুরকে হত্যার চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন কলাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গায়েব করার হুমকী দেয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়রী
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

পাইকগাছায় কপিলমুনি ঢিবি পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি / ৭২
নিউজ আপঃ বুধবার, ১৮ মে, ২০২২, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের খননকৃত খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি ঢিবি পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার। মঙ্গলবার তিনি প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের খননে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে উঠে আসা সম্ভাব্য বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন।

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার হক, ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দারসহ স্থানীয় মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা জেলা প্রশাসককে উদ্ধারকৃত প্রত্তবস্তু, স্থাপনা, স্থাপত্যশৈলী ঘুরে ঘুরে দেখান। তিনি বলেন, কপিলমুনি ঢিবি (রেজাকপুরস্থ) এলাকায় দীর্ঘ মেয়াদী বিস্তারিত খননে উঠে আসতে পারে কোন পরিপূর্ণ বৌদ্ধ বিহার।

উল্লেখ্য, ইতিহাসের খোঁজে প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের খননে একের পর এক উঠে আসছে প্রাচীণ স্থাপত্যকাঠামো ও প্রত্তবস্তু। প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের দাবি, স্থাপনাগুলো নবম থেকে দ্বাদশ শতকের। পর্যায়ক্রমে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ঢিবিগুলো খননে প্রাপ্ত নমুনার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় উঠে আসতে পারে সুনির্দিষ্ট শাসনামলের সময়কাল, প্রাচীণ স্থাপত্যশৈলী এবং সেখানে বসবাসকারীদের সম্পর্কে বিষদ ধারণা।

স্থানীয়রা বলছেন, আশপাশের কয়েকটি গ্রামজুড়ে রয়েছে এমন অনেক পুরনো ঢিবি। মাত্র এক মাস বরাদ্দের খননে খুলনা প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের খননে দৃশ্যমান নবম হতে দ্বাদশ শতকের স্থাপত্যকাঠামো। ইতোমধ্যে সেখানকার পাওয়াগেছে, প্রাচীণ আমলের বিভিন্ন ধরনের মৃৎপাত্র, মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশ, পোড়া মাটির ফলক, প্রতীমার ভগ্নাংশ, অলংকৃত ইট, বিনিময় মাধ্যম কড়িসহ বিভিন্ন ধরনের প্রত্ততত্ত্ব বস্তু।

প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের খননের সফলতা নীরিক্ষণপূর্বক পরিদর্শনে গত ২৩ এপ্রিল অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পন্ডিত খননস্থল পরিদর্শন করেছেন।এছাড়া প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের সুন্দরবনে জরিপ ও মিডিয়ায় সাম্প্রতিক বিভিন্ন কার্যক্রম দেখে প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে পরিদর্শনে আসেন, সুন্দরবনের প্রাচীন মানববসতির লবণ তৈরির পাত্র ও চুল্লি নিয়ে কাজ করা জার্মান গবেষক ড. গ্রেটাড নিউমান্ন ডেনজিউ।

আফরোজা খান মিতা আরো বলেন, শিংয়ের বাড়ি ঢিবি খননেদৃশ্যমান স্থাপত্যকাঠামোর দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২৫০ মিটার ও প্রস্থ ১৮০ মিটার। দক্ষিণাংশ খননে একটি বর্গাকার স্থাপত্যকাঠামো স্পষ্ট। যেখানে একটি বর্গাকার কক্ষ উঠে এসেছে। কক্ষটিকে ঘিরে দেওয়াল দিয়ে বেষ্ঠিত একটি প্রদক্ষিণ পথ রয়েছে। মূল কাঠামোর কোণগুলোতে কোণিকভাবে প্রসারিত দেওয়াল পাওয়া গেছে।

উদ্ঘাটিত স্থাপত্যকাঠামোর উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব কোণের প্রদক্ষিণ পথের বাইরের দেওয়ালের সাথে মাটির সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় খাদ্যবস্তু কালো রঙের চালের ডিপোজিট পাওয়া গেছে। এই চালের উপর গবেষণা করলে তৎকালীণ সময়ের ধানের প্রজাতি ও প্রতিবেশের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

সতীশ চন্দ্র মিত্র ও আ.ক.ম যাকারিয়া তাদের গ্রন্থে এই এলাকায় পুকুর খননকালে দু’টি বৌদ্ধ প্রতীমা প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করেন। গত ১২-১৬ মার্চ ২২’ থেকে কপিলমুনি ঢিবি প্রত্ততাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধানে আনুষ্ঠানিকভাবে খননকার্যক্রম শুরু করে প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তর।

খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খননে উঠে আসা বিভিন্ন প্রত্তবস্তুর নমুনা ও কাঠামো দেখে প্রত্ততত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে মনে হয়েছে প্রত্তবস্ত সমূহ নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দির। তিনি এ অঞ্চলের প্রত্তভান্ডার উদ্ধার ও তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগামীতে সেখানে দীর্ঘ মেয়াদী খনন পরিকল্পনার কথা বলেন।

এ অঞ্চলের মানববসতি, তাদের সংষ্কৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে অবহিতপূর্বক সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রত্ততাত্ত্বিক এলাকার জমি অধিগ্রহণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর