রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভার সংস্কার কৃত রাস্তার কাজ বন্ধ করতে মোঃ আকমল হোসেন খান (৫৫) রাস্তা ব্যবহার কারী চার জন এর নাম উল্লেখ করে আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। সে পৌরসভার মাগুড়াডাঙ্গী এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ খান এর ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, পৌরসভার মাগুড়াডাঙ্গী এলাকার মৃত আজিজ হক এর ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম টিটু (৪২), একই এলাকার মৃত হাসান আলী মিয়ার ছেলে সামছুল হক ওরফে মজনু মিয়া (৬০), মোঃ মহসিন মিয়ার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩৫) ও মোঃ মঞ্জুর রহমান (৬০)।
মামলায় উল্লেখ করা হয় (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯ টা থেকে ৯.৩০ এর মধ্যে অভিযুক্তরা পৌরসভার সংস্কার কৃত রাস্তায় বাদী মোঃ আকমল হোসেন খান এর রাস্তার পাশের জমি থেকে মাটি কেটে রাস্তায় দিতে থাকে। সে সময় বাদী ও তার পরিবারের লোকজন সহ বাঁধা প্রদান করে। তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তাসহ রাস্তার পাশের মোট ৪২ শতাংশ জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে।
যার ফলে পাংশা মডেল থানা পুলিশ ওই স্থানে শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে নালিশি জমিতে না যেতে নিদ্দেশ প্রদান করে। এবং আদালতের নিদ্দেশ অনুযায়ী ৩১ জুলাই উভয় পক্ষকে আদালতে হাজির হতে বলেন।
তবে সরেজমিনে গিয়ে তার কোন সত্যতা মেলে না। সেই সাথে দেখা যায় ওই রাস্তা পৌরসভা ১৫/২০ বছর আগে ইটের সলিং করে রেখেছে। এখন ওই রাস্তায় প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পৌরসভা সংস্কার করছে।
এ বিষয়ে বাদী মোঃ আকমল হোসেন খান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার একার জমির উপর দিয়ে রাস্তা গেছে। অথচ রাস্তার কাছে হবে কিন্তু আমার বাড়ির রাস্তার কাজ হবে না এটা কি করে হয়। তবে তিনি শিকার করেন ১৫/২০ বছর আগে ওই রাস্তায় ইটের সলিং করেছে পৌরসভা। তাতে বলা হয় রাস্তার কাজ করছে পৌরসভা কিন্তু আপনি পৌরসভার নামে মামলা না করে ব্যক্তি উল্লেখ করলেন কেনো। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিবাদী গন ১৫/২০ আগের রাস্তা করার সময় আমার জমির উপর হতে মাটি কেটে রাস্তায় দিয়েছিলো। এছাড়া তাকে বলা হয় ১৪৪ ধারায় উল্লেখিত বাকি জমিতে তো আপনি ও যেতে পারবেন না মামলা নিস্পত্তি না হওয়া অব্দি, এ সময় তিনি আর কথা বলতে চায় নি।
পাংশা পৌরসভার মেয়র ওয়াজেদ আলী মন্ডল বলেন, আমার কাছে রাস্তা বন্ধের জন্য কোন প্রশাসনিক নিদ্দেশ আসে নাই। রাস্তার কাজ চলছে অন্য পাশে। ওই রাস্তার ও কাজ নিয়ম অনুযায়ী হবে।
এই বিভাগের আরও খবর....