চাঁদপুরের কচুয়ায় ব্রীজ নির্মানে ঠিকাদারের ধীরগতির কারনে চরম দুভোর্গে পড়েছেন যাত্রী,চালক ও এলাকাবাসী। উপজেলার পালাখাল-সেঙ্গুয়া-নন্দনপুর ও আলীয়ারা সড়কের মগপুকুরিয়া এলাকায় ব্রীজের উন্নয়ন কাজের জন্য কিছুটা বিকল্প ড্রাইরবেকশন করা হলেও, পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সড়কে রাখা হয়নি কোন সতর্ক সংকেত। এতে করে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার কারনে যাত্রী ও সাধারন মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পালাখাল-আলীয়ারা সড়কের মগপুকুরিয়া এলাকায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে সাধারণ মানুষ চলাচল এবং যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প হিসাবে রাস্তা রাখা হলেও ব্রীজ নির্মানে ধীরগতি। দীর্ঘ কয়েক মাস পার হলেও নির্মান হয়নি ব্রীজটি । এতে যানবাহন চালক ও সাধারণ যাত্রীরা হচ্ছেন চরম ভোগান্তির শিকার। এপার থেকে ওপারে গাড়ি চলাচলের রাস্তা বন্ধ থাকায় বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম।
স্থানীয় এলাকাবাসী মজিবুর রহমান,শামীম আহমেদ,মাহবুব আলম,চালক সুজন,মনির সহ একাধিক লোকজন জানান, এই ব্রীজ নির্মাণের ঠিকাদার একজন এবং স্থানীয় ব্রীজ নির্মাণে কাজের আরেকজন সাব-কনট্রাক্ট এর দায়িত্বে আছেন। কয়েক মাস ধরে ব্রীজ নির্মানের নামে এভাবে ভেঙ্গে রাখা হয়েছে। ছোট করে ড্রাইরবেকশন করা হলেও পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রী,চালক,শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। দ্রুত ব্রীজটি নির্মানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার,সাইদুল,জান্নাত,আলমসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে আমার কলেজে যাই। ব্রীজ নির্মান না হওয়ায় কলেজে যেতে আমাদের দেরি হচ্ছে। তাছাড়া কয়েক বার দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলিম লিটন বলেন, পালাখাল-সেঙ্গুয়া সড়কের মধ্যবর্তী মগপুকুরিয়া এলাকায় ব্রীজটি প্রায় অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র টপ স্ল্যাব কাজটি বাকী রয়েছে। ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি তিনি অতিদ্রুত টপস্ল্যাব কাজ করে ব্রীজটি সম্পূর্ন করবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করছি টপ স্ল্যাবের কাজ সম্পূর্ন হলে কয়েক দিনের মধ্যে এ ব্রীজটি চলাচলের উপযোগী হবে।