রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের রাজশাহীতে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শশুরকে হত্যার চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন কলাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গায়েব করার হুমকী দেয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়রী
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

পাইকগাছায় ধান কাটা শ্রমিকসংকটে বিপাকে কৃষক

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি / ১১১
নিউজ আপঃ রবিবার, ১ মে, ২০২২, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় শ্রমিকসংকটে মাঠে নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান। বোরো বাম্পার ফলন হলেও স্বস্তিতে নেই কৃষক। অতিরিক্ত দামেও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে, টলতি মৌসুমে পাইকগাছায় বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৫ হাজার ৬২২ হেক্টরে চাষ হয়েছে। অতিরিক্ত ১ হাজার ৬২২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।

এর মধ্য উফশী ধান চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। আর ১ হাজার ৫৭২ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ হয়েছে। উপজেলার হরিঢালী ৯৪৫ হেক্টর, কপিলমুনি ১ হাজার ৩০, লতা ১, সোলাদানা ১, গদাইপুর ১ হাজার ২৪০ হেক্টর, রাড়ুলী ১ হাজার ৪৫, চাঁদখালী ১ হাজার ৯০, দেলুটি ৭০, গড়ইখালী ইউনিয়নে ২০ ও পৌরসভায় ১৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।

র‌্যালী ইউনিয়নের কৃষক আবদুল হান্নান শেখ বলেন, আমি এ বছর ২ একর জমিতে বোরো ধান করেছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর ভালো ধান হয়েছে। পোকার আক্রমণ একটু বেশি থাকলেও অতিরিক্ত বিষ ছিটাতে খরচ বেশি হয়েছে। তার পরও খুশি ছিলাম। এখন শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারায় ধানের শিষ ভেঙে মাটিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

অধিকাংশ শ্রমিক ইটভাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছে। আমি ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। গদাইপুর ইউনিয়নের কৃষক ইউনুছ আলী বলেন, আমি বছরে দুবার জমিতে ধান লাগাই। এই ধান চাষ করেই ১০ সদস্যর সংসার চালাই।

এবার আমার সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে ভালো ধান হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকসংকটে তা ঘরে তুলতে পারছি না। উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের অবস্থা প্রায় একই। শ্রমিকের অভাবে পাকা ধান খেতে পড়ে রয়েছে। যথাসময়ে কাটতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক।

ধান ঘরে না তোলা পর্যন্ত তাঁদের স্বস্তি নেই। উপজেলার তকিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াব বলেন, এ বছর দেড় একর জমিতে ধান লাগিয়েছি। মাত্র ১ বিঘার ধান কাটতে পেরেছি। ধান পেকে গেলেও শ্রমিক অভাবে কাটতে পারছি না।

চাঁদখালী ইউনিয়নের কাঁটাবুনিয়ার বিধান চন্দ্র রায় বলেন, ৫ একর জমিতে ধান লাগাইছি। ১ একর জমির ধান কাটতে পারলেও শ্রমিকের অভাবে বাকি ধান কাটতে পারছি না। আবার ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছি। এত খরচ করে ধান লাগিয়ে শ্রমিক অভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে ধান পেকে গেছে। সে কারনে সব কৃষক একবারে ধান কাটা শ্রমিক নেওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ শ্রমিক এলাকার বাইরে কাজ করতে গেছে, তাই এ সংকট। তবে ঈদের পরে শ্রমিক পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।

তিনি আরও বলেন, এমন ঘটনা প্রতিবছর হয়। আর ঈদের পর শ্রমিকের মজুরিও কমে আসবে। তবে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, তাহলে উপজেলার ৯০ শতাংশ ধান কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছি।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর