রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর বাজারে দোকানে-দোকানে হাতি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মাহুত গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। ফলে বিড়ম্বনার শিকার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
রবিবার ( ১৭ এপ্রিল) বেলা-১টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর বাজারে বিভিন্ন দোকানীদের কাছ থেকে মাহুত গোলাম মোস্তফা হাতি দিয়ে টাকা আদায় করেন।
ব্যবসায়ীরা জানান,চন্ডিপুর বাজারে বিভিন্ন দোকানের সামনে হাতিটিকে দাঁড় করিয়ে দেয় মাহুত মোস্তফা। এরপর হাতি তার লম্বা শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানীদের দিকে। দোকানের মালিক ও দোকানে থাকা সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে হাতির শুঁড়ে টাকা ধরিয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ টাকা হাতির সামনে ফেলে দেয় বলে জানান তারা। তখন হাতি তার শুড় দিয়ে ওই টাকা-পয়সা তার পিঠে থাকা মাহুত গোলাম মোস্তফার হাতে উঠিয়ে দেয়।
চন্ডিপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন,দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে যখন হাতি দোকানীর দিকে শুঁড় বাড়িয়ে দিচ্ছে তখন কিছুটা ভয় ও বিড়ম্বনার শিকার হয়ে টাকা দিতে হচ্ছে।
জিয়া মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের প্রভাইটার জিয়াউল হক বলেন,হাতিটি আমার দোকানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে দোকানের দিকে তার শুঁড়টি এগিয়ে দিল। তখন আমি হাতির এই কান্ড দেখে আমার নির্দেশে এক কর্মচারি হাতির শুঁড়ের মধ্যে একটি ২০ টাকার নোট তুলে দিলে। পরে দেখি ওই টাকা হাতি শুড় দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে তার মাহুতকে দিলো।
এ বিষয়ে মাহুত গোলাম মস্তফা বলেন, রমজান মাসের কারণে কোথাও মেলা হচ্ছে না এবং কোনো সার্কাসও হচ্ছেনা। কীভাবে চলব? তাই রাতা দিয়ে যাতায়াতের সময় মানুষ খুশি হয়ে যে-যা দেয়,তাই গ্রহণ করি। আর ওইগুলো দিয়ে আমার ও হাতির খাবারের ব্যবস্থা করছি।
কোথায় থেকে আসছে এবং কোথায় যাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতির মাহুত গোলাম মোস্তফা উত্তরে বলেন,কুষ্টিয়া থেকে রজশাহীতে যাবো।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিভাগের আরও খবর....