শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের রাজশাহীতে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শশুরকে হত্যার চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন কলাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গায়েব করার হুমকী দেয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়রী
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

বাজার মনিটরিং দুর্বল: ওজনে তরমুজ বিক্রিতে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি / ১০২
নিউজ আপঃ রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় পৌরসভাসহ বিভিন্ন হাট বাজারে চড়া দামে তরমুজ ওজনে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতাসাধারণ। কৃষকের মাঠ থেকে ব্যবসায়ীরা পিচ হিসেবে ক্রয় করে, বাজারে ওজনে বিক্রি করছে।

এদিকে তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল। ব্যবসায়ীরা বিঘা, ক্ষেত ও পিচ হিসাবে তরমুজ কিনলেও তারা বাজারে বিক্রি করছে ওজনে।

ফলে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভ করছে, আর ক্রেতারা ঠকছে নিরবে। পৌর বাজারসহ বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি, কাশিমনগর, আগড়ঘাটা, মামুদকাটি, মানিকতলা, নতুনহাট, বাঁকা, র‌্যালী, শামুকপোতা, গড়ইখালী, চাঁদখালী, গদাইপুরসহ বিভিন্ন বাজারে ওজনে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। শুধু ওজনে বিক্রি নয়, কোনো কোনো বাজারে তরমুজের দাম কেজি প্রতি বেশি নেয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা ক্ষেত ও পিচ হিসাবে তরমুজ কেনার পাশাপাশি আড়ৎ থেকেও পিচ হিসাবে তরমুজ নিয়ে আসছে। অথচ তারা বিক্রি করছে ওজনে। সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট আকারে প্রতি পিচ তরমুজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর বড় প্রতি পিচ তরমুজ ৬০ থেকে ৯০ টাকা করে কিনেছে আড়ৎ থেকে। সিন্ডিকেট করে তরমুজ ব্যবসায়ীরা মৌসুমের শুরুতে ৫০ টাকা বিক্রি করলেও এখন প্রতি কেজি ৩০/৪০ টাকা দরে বিক্রি করছে। সে হিসাবে ছোট বড় প্রতিটি তরমুজে তারা ৩০ থেকে ৭০ টাকা লাভ করছে।

পৌর বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী শেখ মিজানুর রহমান জানান, পটুয়াখালী জেলা কোয়াকাটা আড়ৎ থেকে পিচ হিসাবে কিনে এনেছি। কপিলমুনি বাজার ব্যবসায়ী টিটু জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালীতে ৩বিঘা জমির তরমুজ ক্ষেত ক্রয় করেছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ বাজারে এনে প্রতি কেজি ৩৫/৪০ টাকা দরে বিক্রি করছে। পিচ হিসাবে তরমুজ কিনে কেজি দরে বিক্রি করার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই বিক্রি করছে তাই আমিও করছি।

কপিলমুনি বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী সোহাগ জানান, তারা কয়রা থেকে তরমুজ ক্রয় করে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছে।

অন্য তরমুজ ব্যাবসায়ীরা জানান, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় তরমুজের দাম অনেক বেশি। ক্ষেত থেকে অনেক সময় মণ হিসাবে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা ওজনে তরমুজ বিক্রি করছি। সবাই পিচ হিসাবে বিক্রি করলে আমিও করবো। ক্রেতা হোসেন আলী জানান, কয়েক বছর আগেও পিচ হিসাবে তরমুজ ক্রয় করছি। এখন ৬কেজি ওজনের একটি তরমুজ ১৮০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। যা পিচ হিসাবে ৮০/৯০ টাকায় ক্রয় করা যেত।ওজনে বিক্রি করায় তিনিসহ সকল ক্রেতা ঠকছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। গোপালপুর গ্রামের ভ্যান চালক বিশে গাজী জানান, তরমুজ ওজনে বিক্রি হওয়াতে একটি ছোট তরমুজ কিনতে ১০০-১৫০ টাকা লাগছে। তাই এ বছর এখনো তরমুজ কেনা হয়নি। ওজনে তরমুজ বিক্রি হওয়ায় আমাদের মত ভ্যান চালকরা তরমুজ কিনতে পারছেনা।

বাজার মনিটরিং এর অভাবে এমনটাই হচ্ছে বলে ক্রেতা সাধারণ মনে করেন। শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম ভ্রাম্যমাণ আদালতে বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করায় এক ব্যবসায়িকে ৫’শ টাকা জরিমানা করেন। সাধারণ মানুষ উপজেলার সকল বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোর দার করার দাবী জানান।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর