রাজশাহীর পবা উপজেলা হরিয়ান ইউনিয়নে ধানি জমিতে চলছে পুকুর খনন। ভুক্তভোগী জমির মালিকরা অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না। অদৃশ্য শক্তিবলয়ে প্রশাসন ম্যানেজ।
১৬ এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নে জয়পুর মাদ্রাসা মোড় এলাকায় ২০ -২৫ বিঘা জমিতে পুকুর খনন চলছে।
জানা যায়, ২০-২৫ বিঘা জমিতে পুকুর খননের দ্বায়িত্ব পালন করছেন হানিফ ও শাকিল নামে দুই ব্যক্তি। জমির মালিক খতিউল আলম ভাদুর পক্ষ থেকে তারা পুকুর খনন করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিদ্দুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, জমির মালিকদের একটি পক্ষ থেকে থানা ও মতিহার জোনের ডিসিকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। তারা কোন পদক্ষেপ না নিলে সেখানে আমার কিছুই করার নাই।কাটাখালী থানার ওসি বলছেন এটি আমার দেখার বিষয় নয়। এটি এমপি, ইউএনও মহোদয়কে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি। জমির মালিক পক্ষ কোন অভিযোগ দিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন অভিযোগ পাইনি।
ফোনে কথা বললে হানিফ বলেন, আমি খতিউল আলম ভাদু পক্ষ থেকে খনন করে দিচ্ছি। এখানে ভাদুর ভাই মুক্তা, নাতী নাজাম, সোহাগ সহ প্রতিবেশি রফিক জড়িত আছে। তারা সকলেই রাজশাহীর এক সাংবাদিক নেতার আত্মীয় স্বজন। তিনি আরো বলেন, আজ সকাল থেকে পুকুর খননের সময় ৫০ জন সাংবাদিক এসেছে তারা সবাই আমাদের নিকট থেকে সুবিধা নিয়েছে। কেউ নিউজ করবে না। এছাড়াও তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা ম্যানেজ করেছি।
এখানে প্রশ্ন থেকেই যায় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা কোথায় যাবে? কার কাছে বিচার প্রার্থনা করবেন। একটি পুকুর খননে পাশের জমি মালিকদেরও ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে ইউএনও লসমী চাকমাকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই বিভাগের আরও খবর....