পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে রাখাইনদের বর্ষবরণ ১৩৮৪সাংগ্রাই (জলকেলি) উৎসব। শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে জলকেলী উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রাখাইনদের এ
বর্ষবরণ উৎসব। এর আগে সকালে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ ¯œানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পুরোনো বছরের সব দুঃখ-গøানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এ উৎসবের আয়োজন করে অং হেলফ এন্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি স্থানীয় রাখাইন এনজিও। করোনার দীর্ঘ দুই বছর পর এ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে রাখাইন পরিবারগুলোর মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে ।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন ফিতা কেটে জলকেলি উৎসবের
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জলকেলী উৎসবে রাখাইন নেতা নিউ নিউ খেইন এর
সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পটুয়াখালী জেলা
প্রশাসক বলেন, আদিবাসী রাখাইনদের নিরাপত্তা,খাদ্য বাসস্থান এবং উন্নত
নাগরিক সেবায় জেলা প্রশাসন সব সময় পাশে আছে। আদিবাসী রাখাইনদের ভূমি
অধিকারসহ শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সরকার অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে। তিনি
আরও বলেন, ধর্ম ভিন্ন হলেও আমরা সবাই বাংলাদেশী, আমরা বাঙ্গালী এটাই
আমাদের বড় পরিচয়। এসময় জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, এক সময় আদিবাসী
রাখাইনরা এই এলাকা আবাদ করে বসতি স্থাপণ করে। তাদের কুয়া’র নামেই আজকে
কুয়াকাটার নাম করণ করা হয়েছে। এখন রাখাইনরা দিন দিন সংখ্যায় কমে আসছে।
তাই রাখাইনদের অধিকার রক্ষায় সকলকে একতাবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত
মোহাম্মাদ শহিদুল হক, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, মহিপুর থানার
ওসি মোঃ আবুল খায়ের, বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ
সম্পাদক ও অং হেলথ এন্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নিউ
নিউ খেইন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, মহিপুর
থানা যুবলীগের আহবায়ক ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ এম মিজানুর
রহমান বুলেট, পৌর কাউন্সিলর আবুল হোসেন ফরাজী প্রমুখ।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকুলীয় এলাকার বিভিন্ন
রাখাইন পাড়ায় সপ্তাহব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাখাইনদের
বর্ষবরণের আয়োজন চলছে।