রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব ভাট্টি বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি ও মৈত্রী অবিচ্ছেদ্য।
তিনি বলেন ভারত বাংলাদেশকে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছে। পাবনাতেও দুইটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। সহকারী হাইকমিশনার বলেন,এখনো করোনা শেষ হয়নি। এজন্য আমাদের সাবধান থাকতে হবে।
সঞ্জীব ভাট্টি বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করছে। বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক আরো জোরদার হয়েছে। বিশে^ যখন সীমানা নিয়ে বিভিন্ন দেশে সমস্যা চলছে,তখন বাংলাদেশ-ভারতের সীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। বন্ধুত্ব সুদৃঢ় হয়েছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বোঁথর শ্রী শ্রী মহাদেব মন্দির চত্বরে তিন দিনব্যাপী চড়ক পূজা ও মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। বোঁথর মহাদেব মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
মহাদেব মন্দির কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ দাসের সভাপতিত্বে ও রাজিব কুমার বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন,চাটমোহর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম,উপজেলা আওয়ামী লীগৈর সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইছাহক আলী মানিক,উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক চক্রবর্তী,সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্য,মহাদেব মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিংকর সাহা,যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম প্রমূখ।
এরআগে সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব ভাট্টি মহাদেব মন্দির চত্বরে চড়ক গাছে দুধ ও ফুল দিয়ে পূজা দেন এবং মন্দির প্রদক্ষিণ করেন। পরে তিনি চাটমোহর মহাশ্মশান,বোঁথন মহাদেব চাদবাড়ি মন্দির ও চাটমোহর পৌরসভা পরিদর্শন করেন।
এসময় চাটমোহর মহাশ্মশানের রাস্তা উদ্ধার ও উন্মুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন।