নোয়াখালীর কবিরহাঁট উপজেলায় মশা মাছিবাহিত গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত মার্চের শুরু থেকে এ পর্যন্ত উক্ত উপজেলায় প্রায় তিন শতাধিক গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজ নামক এক প্রকার ভাইরাসজনিত চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে।
উপজেলার ঘোষবাগ, ধানশালিক, সুন্দলপুর, ধানসিঁড়িসহ প্রায় সকল ইউনিয়নে গরু মহিষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমির হোসেন জানান, লাম্পি স্কিন ডিজিজ এক ধরণের পক্স ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে। এইরোগে আক্রান্ত গরু বা মহিষের চামড়ার নিচে প্রথমে লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং পরবর্তীতে গুটি আকারে সারা শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং ক্ষত হওয়া স্থান থেকে চামড়া খসে পড়ে।
এছাড়াও বুকের কাছে বা গলার নিচে পানি জমা, উচ্চ তাপমাত্রা, শুধু পায়ের ক্ষুরের ঠিক উপরে ঘা হওয়াসহ অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়। তবে এ রোগে মানুষ আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, টিকা প্রদান ক্যাম্প করে আক্রান্ত এলাকার আশেপাশে রিং আকারে প্রায় ২০০ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি এলাকায় এই রোগের সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে যেসব পশু আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছে, সেগুলো থেকে সুস্থ গরুতে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সুতরাং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই’’।
তবে নোয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এর প্রকোপ কমছে। দ্রুতই এটি আরও কমে যাবে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামার পরিদর্শন, উঠান বৈঠকসহ কৃষকদের মাঝে সচেতনেতা তৈরি করতে মাইকে প্রচারনার মাধ্যমে সকল উপজেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি ও লিফলেট বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।