মনোহরদীতে নিজেকে বিপদাপন্ন বলে এক যুবক প্রকাশ্য দিনে দুপুরে হাতের ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে এক মহিলার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চম্পট দিয়েছে।হিতাহিত জ্ঞানশূন্য মহিলা নিজ হাতে এসব খুলে দিযেছেন বলে জানান তিনি।
মনোহরদী উপজেলার উত্তর বারুদীয়া গ্রামের আতাউর রহমানের স্ত্রী খালেদা(৬০) নাতনীর পড়াশোনার সুবাদে মনোহরদী বাজার সংলগ্ন মন্জু লস্করের বাড়ীতে ভাড়া থাকেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পৌরসভা অফিসে যান তিনি।
খালেদা জানান, সেখান থেকে বেরোবার পথে এক যুবক নিজেকে বিপদাপন্ন পরিচয় দিয়ে তার হাতের ব্যাগটা একটু রাখতে বলেন তাকে। তিনি তাতে রাজী হচ্ছিলেন না।পরে ছেলেটির সাথের আরো দুজন এ নিয়ে তাকে পীড়াপীড়ি করতে থাকে।এরই এক পর্যায়ে বাইপাস রোডের ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে তারা প্রায় জোর করে খালেদার হাতে তাদের একটি ব্যাগ ধরিয়ে দেয়।
খালেদা জানিয়েছেন,ব্যাগ হাতে নেয়ার পর তাদের কথা অনুযায়ী তিনি তার পড়নে থাকা এক ভরির গলার চেন, আধা ভরির কানের দুল খুলে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
অতঃপর সম্বিত ফিরে পেতে দেখেন তারা তার দেড় ভরি ওজনের স্বর্নাংলন্কার নিয়ে উধাও হয়েছে।মহিলা কান্না জড়িত কন্ঠে রাস্তায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত লোকজনকে ঘটনার বিবরন দেন।এ ঘটনায় তার প্রায় লাখ টাকার গহনা বেহাত হয় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মনোহরদী থানার ওসি মোঃ ফরিদ উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এ নিয়ে কেউ থানায় আসেননি। বিষয়টি তার জানা নেই।