রাজশাহী মহানগরীর প্রায় সিংহভাগ পুকুর ভরাট করছে একটি কুচক্রী মহল। ইতিমধ্যে তেরখাদিয়া, সপুরা, হাদির মোড়সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। একটি গবেষণায় জানা গেছে নগরীর বায়ুতে বস্তুকণার পরিমান পি.এম ২.৫ নির্ধারিত ঘনমাত্রার চেয়ে বেশি। পরিবেশ যখন এতোই লাজুক তখন একটি মহল পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী বড় বড় পুকুর গুলো বরাটে ব্যস্ত।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৬ এপ্রিল চন্দ্রীমা থানা এলাকার দায়ড়া পাকের মোড়ে ৬ বিঘা জমির উপর বিশাল পুকুর ভরাট শুরু হয়েছে।
উক্ত জমির মালিক রোকেয়া বেগম। তিনি আবুল কালামের স্ত্রী। তার তিন ছেলে আব্দুর রাজ্জাক পিন্টু, পলাশ ও পিটারের ইন্দনে রতন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমে পুকুর ভরাট করছেন। দিনের বেলায় পুকুর ভরাট চললেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনের ভুমিকা নিরব। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। বিষয়টি চন্দ্রীমা থানার ওসি ও আরডিএ এর সিইও কে মুঠোফোনে জানালে তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। তারা বিষয়টি জানে না বলে নিশ্চিত করেন এবং বলেন বিষয়টি এখনই দেখছি।
জানা গেছে, দায়ড়া পাক মোড়ের সাবু ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে পুকুর ভরাট পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা বলছেন এটা পুকুর না কাগজ কলমে ভিটা লিখা আছে তাই ভরাট করছি।
এদিকে জমির মালিক পক্ষের পলাশ বলেন, আমরা পুকুর ভরাট করতে চেয়েছিলাম না। স্থানীয়দের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পুকুরে চলে যাচ্ছে তাই ভরাট করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন আমাদের অনেক সাংবাদিক আছে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে অবশ্য এ ঘটনায় তুহিন নামে এক ফটো সাংবাদিক ফোনও দেন।
কথা বললে আব্দুর রাজ্জাক পিন্টু বলেন, স্থানীদের সুবিধার জন্য পুকুরটি ভরাট করছি। আমার কোন ইচ্ছা নেই পুকুরটি ভরাট করার। কারণ পুকুরে মাছ চাষ করে আমি মোটা অংকের আয় করি। শুধুমাত্র স্থানীয় কয়েকটির সুবিধার্থে এই ভরাট।
এই বিভাগের আরও খবর....