রাজবাড়ীর পাংশা পৌর এলাকায় বেশিরভাগ জাইগা জুড়ে হিন্দুদের বসবাস। তবে দীর্ঘদিন ধরে পাংশার প্রভাবশালী একটি পরিবার হিন্দুদের সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ায় জন্য বিভিন্ন ভাবে তাদের প্রভাব প্রদর্শন করে চলেছে।
গত ২৯ মার্চ পাংশা পুরাতন বাজার থেকে পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের সহকারি শিক্ষক (টেকনিক্যাল) কমল কুমার আচার্য্য (৪৫) নামের হিন্দু এক শিক্ষককে মারপিট করা হয়।
হিন্দু শিক্ষকের উপর হামলাকারী পাংশার প্রভাবশালী মন্ডল পরিবারের বিদু মন্ডলের ছেলে জুয়েল মন্ডল।
অনুসন্ধান সুত্রে জানা যায়, পাংশা পৌরসভার মেয়র ওয়াজেদ আলী মন্ডল এর বড় ভাই লতিফ মন্ডল স্থানীয় বিশ্বনাথ অধিকারির বসত বাড়ির সংস্পর্শে শরিকানা সম্পত্তি ক্রয় করে। তবে বিশ্বনাথ অধিকারী শরিকানা ওই সম্পত্তি ফিরে পেতে পেনশন মামলা করেন। লতিফ মন্ডল বিভিন্ন ভাবে বিশ্বনাথ অধিকারী কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। তাতে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় ভাস্তে জুয়েল মন্ডল কে ব্যবহার করে বলে অনুসন্ধান সুত্রে জানা যায়। শিক্ষক কমল কুমার আচার্য্য বিশ্বনাথ অধিকারীর বড় ভাইয়ের শ্যালক।
জনশ্রুতি রয়েছে কমল কুমার আচার্য্য এক জন শিক্ষক। তাকে লাঞ্চিত করা হলে বিশ্বনাথ অধিকারী ও ভয়ে লতিফ মন্ডলের ক্রয়কৃত জমির উপর পেনশন মামলা তুলে নেবে।
তবে আজ অব্দি পুলিশ ঘটনার কারণ ও আসামী জুয়েল মন্ডল কে গ্রেফতার করতে পারে নাই।
তবে গত ৩১ মার্চ পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে কমল কুমার আচার্য্য স্ত্রীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার স্বামীর সাথে কারো বিরোধ নাই। তবে ওই দিন কি কারণে জুয়েল আমার স্বামীকে অমানবিক ভাবে আঘাত করে জানি না। আমার স্বামীর কানের পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। আমি পাংশা মডেল থানায় মামলা করেছি। তবে এখনো আসামি গ্রেফতার করা হয় নাই।
আসামী জুয়েল মন্ডলের গ্রেফতারের বিষয় জানতে চাইলে পাংশা মডেল থানার ওসি তদন্ত উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, আমার আসামী জুয়েল কে গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালাচ্ছি। আসামী জুয়েল মন্ডল এই মুহূর্তে রাজবাড়ী জেলার বাইরে অবস্থান করছে।