রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বাঘায় নবাগত ইউএনও’র সাথে প্রধান শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শিমুলতলা জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ বাঘায় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা,থানায় মামলা ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী কাউন্সিলর সাহেব আলীর শাস্তি চায় এলাকাবাসি মানবিক বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান সাভারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

বাঘায় খরায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি, দিশেহারা চাষীরা 

হাবিল উদ্দিন, রাজশাহী প্রতিনিধি / ১৪১
নিউজ আপঃ মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২, ৪:২৩ অপরাহ্ন

আমের রাজধানী খ্যাত অঞ্চল রাজশাহী।আর রাজশাহীর সিংহভাগ আম উৎপাদন হয় বাঘা ও চারঘাট উপজেলায়।টানা খরা ও দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রধান অঞ্চল নামে খ্যাত রাজশাহীর বাঘার অর্থকারী ফসল আমের গুটি ঝরে পড়ছে। অনেক স্থানে একই কারনে লিচু ও কাঁঠালের মুচিও ঝরে যাচ্ছে। এতে উপজেলার আমচাষী ও ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
বাঘা উপজেলার বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা যায়, এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিকাংশ গাছে পর্যাপ্ত মুকুল আসে নাই।গাছে যে পরিমাণ গুটি আসার কথা সে পরিমাণ আসেনি।এ অঞ্চলের আম চাষী ও বাগান মালিকরা বাগানের পরিচর্যা করে যাচ্ছে। কিন্ত দীর্ঘ কয়েক মাস বৃষ্টি না হওয়ায় গ্রীষ্মের খরতাপে আম ও লিচুর বোটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। একই কারণে ঝরে পড়ছে কাঁঠালের মুচিও। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ অঞ্চরের বাগান মালিক ও ব্যাবসায়ীরা। এ ছাড়া বেশীরভাগ এলাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে পারছেন না বাগানগুলোতে। ফলে বিপাকে পড়েছে চাষীরা।
বাঘা পৌরসভার পাকুড়িয়া গ্রামের আম চাষী আরমান আলী  জানান, দীর্ঘ কয়েক মাস বৃষ্টি না হওয়ায় আম ও লিচুর বোটা শুকিয়ে গুটি ঝরে পড়ছে। বাগানগুলোতে প্রচুর মুকুল এসেছিল এবং গুটিও ভালোই আটকাচ্ছিল কিন্তু খরার কারনে আম-লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে।পুষ্টির অভাবে আম বড় হতে পারছেনা। নামী দামী ওষুধ স্প্রে করেও তেমন ফল পাচ্ছি না।এতে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমের গাছ রয়েছে।ওই পরিমাণ জমিতে আম গাছের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৩০টি।এ বছর আম উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে১লক্ষ ৩ হাজার ৬১৫ মেট্টিকটন।বাঘা উপজেলা থেকে বিভিন্ন বিদেশে ১০০মেট্টিকটন  আম রফতানীর সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, আম ও লিচুর ফলন ধরে রাখতে গাছের গোড়ায় রিঙ করে বেশি বেশি পানি দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে চাষিদের। এছাড়া প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া সার অথবা ২ গ্রাম বরিক এসিড মিশ্রণ করে স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share