নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জিহাদ (১৪) নামে নদীতে তলিয়ে যাওয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ প্রায় ২৯ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষার্থী জিহাদ ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতো। রোববার (৩ এপ্রিল) সে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে আসে। সোমবার (৪এপ্রিল) সকালে সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে স্থানীয়দের সাথে নদীতে লাকড়ী ধরতে নামে জিহাদ। লাকড়ী ধরার এক পর্যায়ে দুপুর ১২ টায় সে নিখোঁজ হলে স্থানীয়রা জিহাদের পরিবার ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
পরে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার কাজ চালায়। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধঅর করতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে চলে গেলে উপজেলার পুকুরিয়াকান্দা গ্রামের এক বোবা ছেলে ডুব দিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে বিকেল সাড়ে ৪ টায় ঘটনাস্থল কামারখালী এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত জিহাদ উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ভবদেবপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী হাতেম আলী বলেন, এই অল্প পানি থেকে দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল লাশ খুঁজে বের করতে পারে না এটা নতুন নয়।
ফায়ার সার্ভিস যেখানে ব্যর্থ সেখানে ওই বোবা ছেলে ডুব দিয়ে লাশ উদ্ধার করে এটা তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। এ পর্যন্ত গত দু বছরে প্রায় ১৯টি লাশ উদ্ধার করেছে সে।
দুর্গাপুর থানার ওসি মীর মাহাবুবুর রহমান লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবার ও কারোর কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।