রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং যানজটের ভোগান্তি কমাতে পাবনায় অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর মনিটরিং টিম। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে শহরের আব্দুল হামিদ সড়ক, বড় বাজার, নিউমার্কেট, সোনাপট্টি, চাউল পট্টি এলাকায় যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তারা। এ সময় ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা দোকান ও যত্রতত্র পার্কিং করে রাখা যানবাহন সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়।
পরে, বড় বাজারে নিত্য পণ্যের বাজারে সয়াবিন তেলসহ রমজানের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান তারা। এ সময় পাবনা পৌরসভার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান, চেম্বার অব কমার্স সভাপতি সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরীসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা পৌর মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান বলেন, পাবনা একটি পুরনো জেলা শহর হলেও নগর পরিকল্পনা ছাড়াই যত্রতত্র বিপনী বিতান গড়ে উঠেছে। গাড়ী পার্কিংয়েরও ব্যবস্থা নেই। এ কারণে যানজটে জনগণকে দূর্ভোগে পড়তে হয়। এ সংকট দূর করতে বৃহৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রয়োজন। তবে, প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে আপাতত পুরাতন বন্ধন কমিউনিটি সেন্টার মাঠ ও শহীদ আমিনউদ্দিন আইন কলেজ মাঠে ইফতার বাজার তৈরী করা হবে। ব্যবসায়ীদের ফুটপাতে দোকান না বসিয়ে এসব স্থানে পন্য বিক্রি করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন জানান, রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। যানজট কমাতে আইনশৃংখলা বাহিনী, পৌর কর্তৃপক্ষ ও চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে ইফতার ও ফলের বাজারের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। ফুটপাত দখলকারী ব্যবসায়ীদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, পাবনা শহরের সংকীর্ণ সড়কে অধিক যানবাহনের কারণে জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আইনশৃংখলা বাহিনী আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু কেবল আইন প্রয়োগে এ সংকট সমাধান সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। রমজানে আমরা জনসাধারণকে একটু স্বস্তি দিতে চাই। এ কারণে কোনভাবেই ফুটপাতে ইফাতারের দোকান বসাতে দেয়া হবে না।